শীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে নিময়গুলো মানতে হবে
Published: 19th, January 2025 GMT
শীতে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে এবং বাতাসে ধুলাবালির প্রকোপ বেশি থাকে। এ সময়ে মানুষ নানা রকম ফ্লুতে ভুগতে পারে। শীতে সুস্থতা রক্ষায় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
অধ্যাপক ডা. কে সি গাঙ্গুলী, ইউনিট প্রধান, রেসপিরেটরী মেডিসিন (বক্ষব্যাধি)- জাতীয় বক্ষব্যধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। ‘‘শীতকালে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে এই সময় চোখ ওঠা, চোখ চুলকানি, চোখের অ্যালার্জি এগুলো বেড়ে যায়। ধুলোবালি মানুষের মুখ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। ফলে পেটের পীড়াও বেড়ে যেতে পারে।’’
শীতকালে ভালো থাকার উপায় সম্পর্কে এই চিকিৎসক বলেন, ‘‘শীতের সমস্যা বহুবিধ। এরমধ্যে একটি হচ্ছে তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রায় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা জরুরি। এজন্য পর্যাপ্ত গরম পোশাক পরতে হবে। একজন অ্যাজমা রোগী যদি শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক পরিধান না করেন তাহলেও তার রোগ বেড়ে যেতে পারে। এই যে ধুলাবালি উড়ছে এর মধ্যে অনেক ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোর মধ্যে মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াও আছে। অর্থাৎ সবগুলো মাস্ক দিয়ে প্রতিরোধ করতে পারবেন বিষয়টি এমন নয়। দেখা যায় যে, যেখানে মানুষের সমাগম বেশি সেখানে গেলে মানুসের সংক্রমিত হওয়ার হার বেড়ে যায়। কারণ একজন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগী যখন হাঁচি দেয়, একটি হাঁচি থেকে ১০ থেকে ১৫ বা তারচেয়েও বেশি লোক আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে জন সমাগম যতটা সম্ভব এড়িযে চলতে হবে। ’’
আরো পড়ুন:
শিশুর ডায়রিয়া হলে কখন হাসপাতালে নেবেন
দীর্ঘসময় বসে কাজ করতে হয়, স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কী?
‘‘শীতকালে ফ্লু জাতীয় রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া এই সময়ে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ তাদের ইমিউনিটি প্রাপ্ত বয়ষ্কদের তুলনায় কম থাকে। শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ধুলাবালির প্রকোপ থেকে রক্ষা করা জরুরি।’’— যোগ করেন ডা.
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’