ক্রিকেটে উত্তেজনা নতুন কিছু নয়, তবে সবকিছুরই একটা সীমা থাকা উচিত। কিন্তু শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। একটি ছক্কার জবাবে শুরু হলো বাগ্‌বিতণ্ডা, যা গড়ায় শারীরিক দ্বন্দ্বে। ছক্কা হজম করেই মেজাজ হারিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটার রিপন মন্ডলের হেলমেট টেনে ধরেন প্রোটিয়া পেসার টিপেসু এনটুলি।

ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ১০৫তম ওভারে। ওভারের প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে এনটুলিকে ছক্কা হাঁকান রিপন মন্ডল। সেই শটে চটেই যান এনটুলি। পরপরই তিনি আগ্রাসী ভঙ্গিতে এগিয়ে আসেন রিপনের দিকে। শুরু হয় কথার লড়াই, যা একপর্যায়ে রূপ নেয় ধাক্কাধাক্কিতে।

এনটুলি উত্তেজিত হয়ে রিপনের হেলমেট ধরে টানাটানি শুরু করেন। আম্পায়ার সামনে থাকলেও থামানো যাচ্ছিল না তাকে। রিপনও হাত দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এরপর দুই আম্পায়ার এবং আশেপাশের খেলোয়াড়রা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবুও এনটুলি বেশ কিছুক্ষণ ধরে ক্রমাগত কিছু বলে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার আরও দুই খেলোয়াড়ও এগিয়ে এসে রিপনের সঙ্গে কথা বলেন।

এরপর অবশ্য মাঠের খেলায় ফেরে মনোযোগ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল অলআউট হয় ৩৭১ রানে। রিপন করেন ৪৩ রান, ৮১ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। তাকে শেষ পর্যন্ত ফিরিয়ে দেন এনটুলি নিজেই।

এর আগে প্রথম চার দিনের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। আর ওয়ানডে সিরিজে লড়াই করেই ট্রফি ধরে রেখেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনট ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ব্রাজিলিয়ানরা প্রাণখুলে খেলে, প্রতিভা ও দক্ষতায় ভরপুর’

ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। ব্রাজিলে পা রেখেই দল ঘোষণা করতে হয়েছে তাকে। সেই দল নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। এরপর ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যে সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা, তাদের খেলতে দেখার অভিজ্ঞতা, কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ডন কার্লো। সাক্ষাৎকারের মূল অংশ তুলে ধরা হলো: 

প্রশ্ন: কার্লিনহোস, কারলেতো, কার্লোস, আনচেলত্তি; কোন নামে ডাকবো আপনাকে? 

আনচেলত্তি: আমি জানি না। সবগুলো নামই খুব স্নেহের। আমার সবগুলো পছন্দ। 

প্রশ্ন: প্রথমবার রিওতে, দ্বিতীয়বার ব্রাজিলে। উত্তাপ টের পাচ্ছেন?

আনচেলত্তি: হ্যা, খুব উত্তাপ। হৃদয়ের উষ্ণতা। আমি একবার ফোর্তালেজা গিয়েছিলাম। ব্রাজিল ও মেক্সিকোর ম্যাচ দেখতে। উদ্দেশ্য ছিল দিদা, সের্গিনহো ও আমোরোসেকে দেখা। আমি তখন জুভেন্টাসে কাজ করি। তিনজনকেই কেনার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তারা কাউকে কেনেনি। তিন মাস পরে মিলানে গিয়ে তিনজনের নাম বলি। তারা দিদা ও সের্গিনহোকে সাইন করায়।

প্রশ্ন: ৩৪ জন ব্রাজিলিয়ানকে আপনি কোচিং করিয়েছেন। অভিজ্ঞতা কেমন? 

আনচেলত্তি: ব্রাজিলিয়ানরা ফুটবলার হিসেবে দারুণ হয়। অন্যদের চেয়ে টেকনিকে অনেক এগিয়ে। তাদের 
আমার খুব শান্ত, বিনীত মনে হয়েছে। আমি ৩৪ জনকে কোচিং করিয়েছে। কারো সঙ্গে কোন ঝামেলা হয়নি। একজনের সঙ্গে একটু হয়েছিল। তার নাম বলবো না (হাসি)। 

প্রশ্ন: আপনার দেখা সেরা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার কে, রসিক কে আর সবচেয়ে পেশাদার কে? 

আনচেলত্তি: টেকনিকের দিক থেকে সেরা রোনালদো নাজারিও। সে বিশ্বের অন্যতম রসিক ব্যক্তিও। সবচেয়ে পেশাদার কাফু। ভিনি খুব বিনীত। তাদের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। 

প্রশ্ন: বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ চার ম্যাচের দুটি ব্রাজিলে হবে। আপনার কোন স্টেডিয়াম পছন্দ আছে?

আনচেলত্তি: অবশ্যই মারাকানায় খেলতে পছন্দ করবো। আমি কখনো মারাকানায় যাইনি। ব্রাজিল জাতীয় দলকে পুরো দেশ ভালোবাসে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আরও আপন হতে ভিন্ন ভিন্ন স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলা যায়।

প্রশ্ন: ব্রাজিলের কে আপনাকে দারুণ প্রভাবিত করেছে?

আনচেলত্তি: আমি ব্রাজিলের অনেক খেলোয়াড়কে অনেক আগে থেকে চিনি। ফ্যালকাও, তনিনহো, ছেরেজো। আমি ব্রাজিলিয়ানদের যেটা পছন্দ করি তা হলো- তারা প্রাণখুলে খেলে, তারা প্রতিভায় ভরপুর এবং খুবই দক্ষ। 

প্রশ্ন: ফ্রি সময়ে এখানে কীভাবে সময় কাটবে?

আনচেলত্তি: আমি রিও ডি জেনেইরো যাবো। কর্কোভাদো ঘুরবো, সেখানকার সৈকতে যাবো। এরপর সাও পাওলো, বেলো হরিজোন্তে, পোর্ত এলিগ্রি। ছেরেজো আমাকে বেলো হরিজোন্তের কথা বলেছে। কাকা সাও পাওলোয় আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ফ্যালকাও পোর্ত এলিগ্রি। এখন আমার হাতে সময় থাকবে। আমি এখানে থাকব। এখানে থেকেই জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে চাই। ব্রাজিল ফুটবলের কাঠামো সম্পর্কে ধারণা নিতে চাই এবং দেশটা উপভোগ করতে চাই। 

প্রশ্ন: মাঠের বাইরে কার্লো আনচেলত্তি কেমন?

আনচেলত্তি: খুবই শান্ত। আমি খুব নিরব জীবন পছন্দ করি। আমি সিনেমা দেখতে পছন্দ করি। বন্ধু, পরিবারকে সময় দেই। ফুটবলের বাইরে জীবনটা যত সম্ভব ধীর-স্থির রাখার চেষ্টা করি। একেবারেই স্বাভাবিক জীবন। পার্টি পছন্দ করি না, মাঝে মধ্যে অবশ্য যেতে হয়। 

প্রশ্ন: আপনার বইয়ের নাম ‘কুইট লেডারশিপ’। ব্যাপারটা কেমন?

আনচেলত্তি: কাউকে প্রভাবিক করার দুটো উপায়। একটা পারচুয়েশন (বুঝিয়ে প্রভাবিত করা), অন্যটি পারকিউশন (জোর করে মানতে বাধ্য করা)। আমি কাউকে যত সম্ভব বোঝাতে চেষ্টা করি যে, আমি যেটা বলছে এটা ঠিক। আমি চাইলে পারকিউশনও প্রয়োগ করতে পারি।

প্রশ্ন: ইতালিতে একসঙ্গে খেলেছেন এমন একজন ব্রাজিলিয়ান?

আনচেলত্তি: জিকো, আমার দলের বিপক্ষে একবার গোল করেছিল। আমার দায়িত্ব পড়েছিল তাকে দেখে রাখার। তখন আমি তরুণ। তার গোলে আমরা ম্যাচটা হেরেছিলাম। উদিনেসে তার প্রথম ম্যাচে ফ্রি কিকে ছয় গোল করেছিলেন তিনি। অসাধারণ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাল থেকে ২২ দিন বয়সী নবজাতকের লাশ উদ্ধার, মাসহ আটক ৪
  • সাহসী দৃশ্যে অভিষেক, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রেম, এরপর আড়ালে চলে যান এই অভিনেত্রী
  • ঘাড়ের ব্যথা সারানোর ব্যায়াম
  • ঈদে অতিথি আপ্যায়নে থাকুক ‘আমের পায়েস’
  • চিংড়ির মালাইকারী রান্না করে পাক্কা রাঁধুনিতে সেরা সাইমা
  • পুকুর থেকে ফুটবল তুলতে গিয়ে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
  • পুকুর থেকে ফুটবল তুলতে গিয়ে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর মৃত্যু
  • পোশাক কেনাবেচার কথা বলে ভাড়া নেওয়া হয় বাসাটি
  • ‘ব্রাজিলিয়ানরা প্রাণখুলে খেলে, প্রতিভা ও দক্ষতায় ভরপুর’