ভোরে বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়তেই কাঠফাটা রোদ। এরই মধ্যে কক্সবাজার শহরের বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে ওঠে কয়েক শ শিক্ষার্থীর কোলাহলে। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে মেতে ওঠে খোশগল্পে, কেউ আবার ছবি তোলায়। সবারই চোখেমুখে ছিল সাফল্যের আনন্দ, স্বপ্নের উচ্ছ্বাস। তাদের জড়ো হওয়ার উপলক্ষ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ‘জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কৃতী সংবর্ধনা ২০২৫’ অনুষ্ঠান।

‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’—এই স্লোগানে প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় কক্সবাজারে আজ রোববার সকাল ১০টায় শুরু হয় জিপিএ-৫ উৎসব। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের। এরপর ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা ভিড় জমাতে থাকে প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রবেশপথে নিবন্ধন বুথ থেকে কার্ড, নাশতা ও ক্রেস্ট নিয়ে উৎসব প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এবার অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া ৬৩৪ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে।

সকালে উৎসব প্রাঙ্গণে ঢুকতেই শিক্ষার্থীদের আড্ডা ও কোলাহল চোখে পড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তোলায় ব্যস্ত ছিল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান। সে ৮৫ কিলোমিটার দূরের কুতুবদিয়া উপজেলা থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে উৎসবে অংশ নিয়েছে। নাঈমুর রহমান বলে, ‘ভোরে বাড়ি থেকে বের হই। সকাল সাড়ে ৯টায় ভেন্যুতে আসি। পরীক্ষার পর থেকে এত খুশি আর হইনি। আমার সব মেধাবী বন্ধু এখানে এসেছে। পুরোনো বন্ধুদের পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন যাচাই করা হচ্ছে। আজ সকালে কক্সবাজার শহরের বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমিতে.