শরীয়তপুর পৌরসভার স্বর্ণঘোষ এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২০ জানুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রাতে একদল দুর্বৃত্ত কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় কার্যালয়ে থাকা ল্যাপটপ, টিভি, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন তারা। এরপর ককটেল ফাটিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সিরাজ মোল্লা বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত জানি না। তবে, ধারণা করছি ফ্যাসিস্টের দোসররা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির দাবি করছি।’’

আরো পড়ুন:

শিশু সাফওয়ান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

‘ট্যানারি গুদামের ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না’

এদিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শরীয়তপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘‘গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বিএনপির কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

ঢাকা/আকাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ