দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রচিত হলো এক অভাবনীয় ইতিহাস। ‘আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ-টু’ এর ম্যাচে সোমবার (০৩ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে গেল সংযুক্ত আরব আমিরাত।

২৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২২.১ ওভারে ৪৯ রানে অলআউট হয় আমিরাত। যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ফলে যুক্তরাষ্ট্র জেতে ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। যা আবার রানের ব্যবধানে তাদের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। শুধু তাই নয়, ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এটা ২০তম সবচেয়ে বড় জয়, রানের ব্যবধানে।

আরো পড়ুন:

মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা

গৌহাটি টেস্টে ‘লাঞ্চের আগে টি-ব্রেক’! জানুন কেন এই ব্যতিক্রম

মারাত্মক আগুন ঝরানো স্পেলে শুরুতেই আমিরাতের টপ অর্ডার উড়িয়ে দেন রুশিল উগরকর (৫ উইকেট ২২ রানে) ও সৌরভ নেত্রাভলকর (৩ উইকেট ৪ রানে)। তাদের তোপে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ধসে পড়ে আমিরাত। মাত্র দশ ওভারেই স্কোরবোর্ডের চিত্র ১৬/৭! সেখান থেকে কেবল লজ্জার ব্যবধান কমানোই ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

কিন্তু ভাগ্যও এদিন সঙ্গ দেয়নি। আর এক ঘণ্টার মধ্যেই আমিরাতের ইনিংস গুটিয়ে যায় ৪৯ রানে। তাতে ওয়ানডে ইতিহাসে নিজেদের সবচেয়ে বড় পরাজয় বরণ করে আমিরাত। একমাত্র নম্বর ১০ ব্যাটার জুনায়েদ সিদ্দিক পৌঁছাতে পেরেছিলেন দুই অঙ্কে (১২)। আর তিনিই একমাত্র ব্যাটার যিনি মারতে পেরেছিলেন একটি ছক্কা।

এর আগে ব্যাট হাতে যুক্তরাষ্ট্রও শুরুতে চাপে ছিল। সপ্তম ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে রানের রান ছিল ২৮। কিন্তু এরপর যা ঘটল, তা ছিল এক মহাকাব্যিক ঘুরে দাঁড়ানো।

সাইতেজা মুক্কামাল্লা (১৩৭ অপরাজিত) ও মিলিন্দ কুমার (১২৩ অপরাজিত) মিলে গড়েন ২৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ। যা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা জুটি। দুজনই শুরুতে বলের গতি সামলে নিয়েছিলেন ধৈর্য ধরে। এরপর ছন্দে ফিরেই দাপট দেখিয়েছেন চার-ছক্কায়।

শেষ ১০ ওভারে তারা তুলে নেন ৯৪ রান, কোনো উইকেট না হারিয়ে। দুর্দান্ত স্ট্রাইক রোটেশন ও দৌড়ে রান তোলার নিপুণতায় তারা পুরো সময় চাপ ধরে রাখেন আমিরাতের বোলার ও ফিল্ডারদের ওপর।

প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই বোঝা যাচ্ছিল, এই রান তাড়া করা সহজ হবে না। আর সত্যিই, যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের নিষ্ঠুর নির্ভুলতায় সেই আশঙ্কাই পরিণত হয় ইতিহাসে। আমিরাতের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পরাজয়ের ইতিহাসে। যুক্তরাষ্ট্র জয়ী ২৪৩ রানে। যা এক নতুন অধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট ইতিহাসে!

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড য ক তর ষ ট র র আম র ত র ব যবধ ন উইক ট সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়

আগের দিন রোহিত শর্মার রেকর্ড ভেঙেছিলেন বাবর আজম। লাহোরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ১১ রানের ইনিংস খেলেই ভারতের সাবেক অধিনায়ককে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছিলেন বাবর। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে কেড়েছেন আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি বিরাট কোহলির রেকর্ড। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবরের এটি ৪০তম ৫০ ছোঁয়া ইনিংস। ৩৯টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে এত দিন বাবরের সঙ্গে  রেকর্ডটির যৌথ মালিক ছিলেন কোহলি।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ইনিংস পর ফিফটি পাওয়া বাবরের ইনিংসে ভর করেই লাহোরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা ৪ উইকেট জিতেছে পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজটা পাকিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়েই সিরিজ জিতল পাকিস্তান।

টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে করে ১৩৯ রান। রানটা ৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান।

রান তাড়ায় ইনিংসের ১১তম বলে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর ব্যাটিংয়ে নামেন এরপরই। দ্বিতীয় উইকেটে সাহিবজাদা ফারহানকে নিয়ে ৩৬ রান জুটি গড়া বাবর তৃতীয় উইকেটে সালমান আগাকে নিয়ে ৫২ বলে  যোগ করেন আরও ৭৬ রান। ২৬ বলে ৩৩ রান করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান যখন ফেরেন ২৭ বলে ২০ রান দরকার পাকিস্তানের।

৫ রান যোগ হওয়ার পর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন বাবর ৪৭ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করা বাবর ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ১৫ রানের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে আরও ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের অপেক্ষা একটু লম্বা করেছে পাকিস্তান।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। এ ছাড়া অধিনায়ক ডোনোভান ফেরেইরা ১৪ বলে ২৯ ও অলরাউন্ডার করবিন বশ ২৩ বলে করেন ৩০ রান। পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

দুই দল এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার ফয়সালাবাদে।

সংক্ষিপ্ত স্কোরদক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৩৯/৯ (হেনড্রিকস ৩৪, বশ ৩০*, ফেরেইরা ২৯, ব্রেভিস ২১; আফ্রিদি ৩/২৬, তারিক ২/২৬, ফাহিম ২/২৮)।
পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১৪০/৬ (বাবর ৬৮, সালমান ৩৩, ফারহান ১৯; বশ ২/২৪, উইলিয়ামস ২/২৬)।
ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩-ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা
  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়