2025-09-17@19:45:10 GMT
إجمالي نتائج البحث: 846
«ঐকমত য»:
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান–সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নতুন পরামর্শ প্রস্তাব সামনে এনেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরপর আদেশটি নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করা যেতে পারে। গতকাল বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়। তবে এটি নিয়েও কোনো ঐকমত্য হয়নি। বিএনপিসহ কিছু দল প্রস্তাবটির সঙ্গে দ্বিমত করেছে। প্রস্তাবটি জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তাবের কাছাকাছি, তারা এটি সমর্থন করেছে। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, প্রস্তাবটি নিয়ে তাদের দলে আলোচনা করতে হবে।এর বাইরে সংবিধানের সংশোধন বা সংবিধান আদেশ অন্তর্বর্তী সরকার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ করতে পারবে কি না বা অন্য কোনো...
বিশেষজ্ঞদের থেকে পাওয়া মতামত অনুযায়ী জুলাই সনদের সংবিধান–সংশ্লিষ্ট সুপারিশগুলো কার্যকর করতে সরকারের কাছে একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করার সুপারিশ উপস্থাপন করতে পারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বুধবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে কমিশন সরকারের কাছে যেসব সুপারিশ পেশ করবে, তার মধ্যে এটি হতে পারে অন্যতম। তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’-এর সংবিধান সংশ্লিষ্ট সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে একটি সমন্বিত পরামর্শ বা অভিমত পাওয়া গেছে। তাঁদের আগে প্রস্তাবিত দুটি বিকল্প, ‘গণভোট’ ও ‘সংবিধান আদেশ’-এ পর্যায়ে সমন্বিত করে তাঁরা একটি চূড়ান্ত অভিমত দিয়েছেন। এতে তাঁরা বলেছেন, জুলাই...
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’ তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’ অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন...
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘এই সনদ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জারি করা হোক এবং প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করা হোক। তবে এই গণভোট অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হতে হবে, নির্বাচনের পরে নয়।’ আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে তৃতীয় ধাপে তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রফিকুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ স্বাভাবিকভাবেই আবারও রাস্তায় নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সে সময়কার দলগুলোর ঐকমত্য থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায়...
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আন্দোলনরত বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবিগুলো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো ধরনের আন্দোলনে না নামার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই পক্ষ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন উপদেষ্টা। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষসহ মোট ৬০ জন অংশ নেন। উপদেষ্টা জানান, প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবিগুলো যাচাই করে সুপারিশ দিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই পক্ষের দাবিগুলো খানিকটা পরস্পরবিরোধী। একজনের দাবি মেনে নিলে আরেকজন অসন্তুষ্ট হবেন। তাই, কীভাবে উভয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা যায়, সেটাই মূল লক্ষ্য। নিজেদের থেকে নয়,...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করার কোনো ইচ্ছা নেই। দ্রুতই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় একটি ঐকমত্যের জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হলেও এ সময় পূর্ণকালীন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন, “আমরা মনে করি না যে আগামী এক মাস ধরে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমরা দ্রুত একটা ঐকমত্যের জায়গায় উপনীত হতে পারবো।” তিনি জানান, কমিশনের কাজ গুটিয়ে আনার জন্যও মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে কার্যক্রম চালানোর পর সেটি গুটিয়ে আনতে সময় লাগে...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের বর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন। এর জন্য কোনো অবস্থাতেই এক মাস লাগবে বলে মনে করেন না তিনি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করছেন, এ ব্যাপারে দ্রুত একটি পরিণতি দেখা যাবে।আজ বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের তৃতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের বৈঠক হচ্ছে আজ।কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। সে হিসাবে কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর পর আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম বৈঠক হচ্ছে। সূচনা...
সংস্কার প্রশ্নে বাড়াবাড়িতে না গিয়ে দ্রুত নির্বাচনমুখী কর্মসূচির দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে শিগগিরই নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন এবং প্রার্থী বাছাইয়ের দিকেও মনোযোগ দেবে দলটি।গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে জানা গেছে।এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা, জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য না হলে এর প্রতিক্রিয়ায় কী হতে পারে, অথবা সরকারের দিক থেকে অমীমাংসিত সংস্কার চাপিয়ে দেওয়া হলে এর পরিণতিতে কী হতে পারে—এসব বিষয়ে নেতারা আলোচনা করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সভায় অংশ নেন। তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত...
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান–সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আগামীকাল বুধবার আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এই আলোচনা শুরু হবে। আজ মঙ্গলবার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছিল কমিশন। মতৈক্য না হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ৩০টি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। গত রোববারও দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হয়। ওই দিনের আলোচনায় কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে মতৈক্য হয়নি।এর আগে দুই পর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়েছে। সেখানে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন...
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণাকে স্ববিরোধিতা বলে মনে করছে বিএনপি।জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ চারটি রাজনৈতিক দল। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় রাস্তায় কর্মসূচি দেওয়া অনেকটা স্ববিরোধিতা। তবে অবশ্যই যেকোনো দলের কর্মসূচি দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তারা কর্মসূচি দিতে পারে।জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদজামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের দাবির মধ্যে জাতীয়...
অর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন যে জরুরি হয়ে পড়েছে, সে ব্যাপারে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেকোনো বাধা দূর করা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর এখনো মতৈক্যে পৌঁছাতে না পারাটা সংগত কারণেই গভীর উদ্বেগের। এই প্রশ্নে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি—তিন দল তিন অবস্থানে রয়েছে। আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দল যখন দীর্ঘ আলোচনা প্রক্রিয়ায় অভূতপূর্বভাবে ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছে, তখন জুলাই সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে একটা সর্বসম্মত অবস্থানে পৌঁছানো মোটেই কঠিন কোনো বিষয় নয়।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর রোববারের সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও ঐকমত্যের...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর করেছে অন্তর্বর্তী সরকার । সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো গভীর বাণিজ্য সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ: আলী রীয়াজ ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শুরুতে ছয় মাস মেয়াদে গঠিত সাত সদস্যের এই কমিশনের মেয়াদ ১৫ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। তখন প্রথম ধাপে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এবার দ্বিতীয় ধাপে বাড়ানো হলো ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কমিশনের কাজ হলো ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। নির্বাচন পদ্ধতি, সংবিধান, সরকার ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জুলাই সনদ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে।গত ১২ আগস্ট জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আজকের তারিখ (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। সে অনুয়ায়ী আজকে ছিল কমিশনের শেষ দিন।গত ১২ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই কমিশনের সহসভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান।মেয়াদ বাড়িয়ে আজকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘এস.আর.ও নম্বর ৫৫-আইন/২০২৫ দ্বারা গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।’ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন,...
জুলাই সনদকে আইনি বৈধতা দেওয়া ও বাস্তবায়নে বাস্তবসম্মত পদ্ধতি কী হতে পারে সেই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে পৌঁছানোর পক্ষে এবি পার্টি। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ। বৈঠক পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের সামনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস নির্বাচন কেন্দ্রীক সংশয় ও সন্দেহ প্রকাশ করলেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তার সাথে এবি পার্টি একমত। জুলাই সনদের বৈধতা ও বাস্তবায়নের পদ্ধতিতে সকল দল এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি তাবে অনেক বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত বলে মনে করি। যে বিষয়ে দলগুলো ঐকমত্যে আসতে পারছে না সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা, পাশাপাশি ঐক্যমত্য কমিশনে বসে সমাধানে...
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনাকে দেশের ইতিহাসে এক ‘অভূতপূর্ব অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, “এ আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের একটি মাইলফলক তৈরি হয়েছে।” রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। আরো পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতেই মহোৎসবে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা চাকরি করার জন্য নয়, মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে তিন দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় ২ জুন প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এবং ৩ জুন থেকে ৩০...
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতের পথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।” তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটি হবে ‘জাতির নবজন্মের মহোৎসব’।” আরো পড়ুন: চাকরি করার জন্য নয়, মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর হামলা চেষ্টার নিন্দা অন্তর্বর্তী সরকারের রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “শুরুতে যখন কমিশনের ধারণা এল, আমি নিশ্চিত ছিলাম না, এটা টিকবে কি না। কিন্তু আজ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে আপনাদের আলোচনা ও সিদ্ধান্তে আমি অভিভূত হয়েছি।”...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সভায় সিনেটে ডাকসুর ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি ঠিক করা হয়েছে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়সংলগ্ন সভাকক্ষে ডাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসুর কার্যক্রম শুরু হলো। উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। আরো পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে জয়ী ৭ নারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কবর জিয়ারতে ডাকসু জয়ী শিবির নেতারা সভায় ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মুহা. মহিউদ্দীন খান, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. আসিফ আবদুল্লাহসহ ২৭ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অনুপস্থিত ছিলেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী...
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গণভোট অথবা গণপরিষদ নির্বাচনই হতে পারে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পদ্ধতি বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অভিমত জানিয়েছেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক এবং জলবায়ু ও সমুদ্রবিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার সাঈদ। ব্যারিস্টার যোবায়ের বলেছেন, দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল বিভিন্ন বিকল্প প্রস্তাব করেছে। এসবের মধ্যে আছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ। তবে, এবি পার্টির মতে, চারটি পথ বিবেচনা করার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে— ১. অধ্যাদেশের...
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন শুধু একটি সাধারণ নির্বাচনই নয়, এটি হচ্ছে একটি ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন, যার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশের পথরেখা নির্ধারিত হবে।” “তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অবশ্যই মৌলিক সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই,” যোগ করেন তিনি। আরো পড়ুন: পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ বাসস লিখেছে, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানতম তিনটি মেন্ডেটের অন্যতম হচ্ছে সংস্কার। তাই নির্বাচন ও বিচারের মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে জুলাই সনদের বিষয়টিকে...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর চূড়ান্ত ভাষ্য আজই পাঠানো হবে৷ এ সনদে সবার মতের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। সনদে স্বাক্ষরের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে দুজন ব্যক্তির নাম পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আলোচনা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজকের আলোচনায় দুটি...
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মতামত পুনঃপর্যালোচনায় সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সনদ বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া মতামত ও পরামর্শ পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়। একইসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আগে প্রদত্ত মতামতও বিশ্লেষণ করা হয়। এছাড়া, আগামীকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, তা সফল করতে প্রস্তুতিমূলক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। সভায় কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় অংশ নেন। ঢাকা/এএএম/রাজীব
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া মতামত পর্যালোচনায় বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। আরো পড়ুন: নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ২৪৮০ কোটি টাকা সাশ্রয়: উপদেষ্টা পৃথিবীর কোনো শক্তি নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব এ সময় গত রবিবারের সভায় বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া মতামত ও পরামর্শগুলো পর্যালোচনা করা হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতও বিশ্লেষণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া...
ইসলামাবাদে ধর্ম উপদেষ্টাকে সংবর্ধনা দিয়েছে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ইসলামাবাদে মন্ত্রণালয়ের ফেডারেল মন্ত্রী সরদার মুহাম্মদ ইউসুফ তার কার্যালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেন পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত করার লক্ষ্যে ধর্মীয় ডেলিগেশন প্রেরণের বিষয়ে দুজন ঐকমত্য পোষণ করেন। বাংলাদেশকে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির মডেল হিসেবে অভিহিত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে ৯১ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলমান। এদেশে সনাতন,...
জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই সনদ’ এর চূড়ান্ত খসড়ায় বাস্তবায়নের কোনো নির্দিষ্ট রোডম্যাপ রাখা হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যকে সামনে রেখে একটি ‘সর্বসম্মত সমঝোতা’র কৌশল হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তের আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে কমিশন এ সিদ্ধান্তে এসেছে যে, জুলাই সনদে বাস্তবায়নের কাঠামো না রাখলে দলগুলো সহজেই সই করতে রাজি হতে পারে। ফলে, মূল সনদে কেবল গঠনমূলক প্রস্তাবনা ও রাজনৈতিক সংস্কারের অঙ্গীকার থাকবে। বাস্তবায়ন কৌশল তুলে ধরা হবে একটি আলাদা সুপারিশপত্রে, যা পরে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেওয়া হবে। চূড়ান্ত খসড়া তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে— ১. প্রেক্ষাপট: জাতীয় সংকট ও ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা। ২. গৃহীত সিদ্ধান্ত: সংস্কার ও রূপরেখা। ৩. অঙ্গীকারপত্র: রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিপত্র। এতে কোথাও উল্লেখ নেই, এই...
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কেউ যদি নির্বাচনের কোনো বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে এ জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক। রবিবার (৩১ আগস্ট) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আরো পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে একমত জামায়াত, অভিযোগ ষড়যন্ত্রের যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল শফিকুল আলম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচন সে সময়ের মধ্যে হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেছেন, কেউ যদি নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক।” প্রেস...
নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে হবে বলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একমত প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার শর্তের ক্ষেত্রে একটি দল ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আব্দুল্লাহ মো. তাহের। রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় এ বৈঠক হয়। আরো পড়ুন: যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল যমুনায় এনসিপির প্রতিনিধি দল “দলটি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে, নির্বাচনের তারিখের ব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও দ্বিমত নাই তাদের। কিন্তু একটি দল নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যখন আমরা কতিপয় শর্তের কথা বলেছি, তখনই বলে যে- এই তারিখে আমরা নির্বাচন চাই না এই কথাটা বলাটাই একটা ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করছি”, বলেন আব্দুল্লাহ মো. তাহের। প্রধান...
স্বাধীনতার পর বিগত পাঁচ দশকে দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকসই ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। নব্বইয়ে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর, পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনের পর, দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে পুনরায় সংসদীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর জনবিরোধী কিছু সিদ্ধান্তের কারণে বিশেষ করে ২০১১ সালে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও গণভোট ছাড়া সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের কারণে দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা ও দলীয়করণের কারণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকারিতা দেখাতে পারেনি এবং ক্ষমতার ভারসাম্য ও নজরদারিত্বের কাঠামো ভেঙে পড়েছিল। শেখ হাসিনা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও বিদ্যমান আইনি কাঠামো, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠান স্বৈরতন্ত্র সৃষ্টির সহায়ক ছিল। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থান একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি করে। জনমনে...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল—জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর সমন্বিত খসড়া। গত দিনের অসমাপ্ত আলোচনা দিয়ে এ দিনের বৈঠক শুরু হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে খসড়াটির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা ও পরিমার্জন করা হয়। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তগুলোর ভাষাগত সুস্পষ্টতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার ওপর। পাশাপাশি, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়ার ওপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া মতামতগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জাতীয় সনদে কীভাবে এসব মতামতের প্রতিফলন ঘটানো যায় তা বিশ্লেষণ করা হয়। একইসঙ্গে মতামতগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় সনদের চূড়ান্ত রূপ নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় আইনি ও নীতিগত কাঠামো গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার সামনে সম্ভাব্য বিকল্পগুলোও বৈঠকে আলোচিত হয়েছে। সভায় কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির...
জুলাই সনদের খসড়ায় কিছু অসংগতি আছে এবং এসব সংশোধন করার পরই বিএনপি তাদের চূড়ান্ত মতামত দেবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপি জুলাই সনদের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজা হবে।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্যের অনেক বিষয় অধ্যাদেশ জারি বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সরকার প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন আইনকে অধ্যাদেশ আকারে বাস্তবায়ন করছে। আবার অনেক বিষয় এমনও আছে, যেগুলোর জন্য নির্বাহী আদেশ পর্যন্ত প্রয়োজন নেই। এগুলো চিহ্নিত করেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাঁর মতে, শুধু যেসব ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন, সেগুলোই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সংসদে নেওয়া উচিত।জুলাই সনদের...
ফেব্রুয়ারির ১৫ থেকে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুরো ছয় মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিনিময় ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এটি একটি বড় কৃতিত্বই বলতে হবে। অবশ্য স্বাধীনতার ৫৪ বছরের প্রথম কয়েক বছর বাদ দিলে প্রায় পুরোটা সময়ে রাজনীতি প্রধানত যে দ্বিদলীয় বৃত্তে আবদ্ধ ছিল, তার একটি পক্ষ এখন পলাতক। তাদের প্রকাশ্য কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় বহুপক্ষীয় আঙ্গিকে রাজনীতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সহযোগিতার নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে।প্রায় ডজন তিনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা ম্যারাথন আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান, রাষ্ট্রকাঠামো, সংসদ, নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয়ে গ্রহণযোগ্য কিছু সংস্কারের অঙ্গীকার করবেন বলে কথা রয়েছে। এটি আশা জাগানো অগ্রগতি। সব কটি বিষয়ে সবাই একমত না হলেও তাঁরা যে রাজপথে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার বদলে সংলাপের মাধ্যমে...
পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষ মূলত একটি ‘বেকার পুনর্বাসন উচ্চকক্ষ অভিহিত করে তা প্রতাখ্যান করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মোহাম্মদপুরে হলি উম্মাহ মিলনায়তনে খেলাফত মজলিস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “পিআর ছাড়া যদি উচ্চকক্ষ গঠিত হয়, তবে এটি মূলত একটি বেকার পুনর্বাসন উচ্চকক্ষ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা এ ধরনের বেকার পুনর্বাসনের জন্য কোনো কক্ষ চাই না। আমরা চাই একটি কার্যকর, সত্যিকার অর্থে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক উচ্চকক্ষ।” তিনি বলেন, “রক্তস্নাত জুলাই অভ্যুত্থানের পর সবার আশা ছিল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে চলে আসা দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির পরিবর্তন হবে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য গঠিত হলেও সংসদ কিভাবে গঠন হবে এ নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি।সংসদ দ্বিকক্ষের হবে-এটাতে ঐকমত্য হয়েছে। তবে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে...
ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া গতকাল গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো সনদে উল্লেখ থাকবে। এর মধ্যে প্রথম পর্বে ঐকমত্য হওয়া বিষয়ের মধ্যে আছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক দলকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, আইনজীবীদের আচরণবিধি, গণহত্যা ও ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন, তথ্য অধিকার আইনের সংশোধন, দুর্নীতিবিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়ন, নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে সংশোধন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতি, আয়কর আইনের সংশোধন ইত্যাদি।আরও পড়ুনজুলাই সনদের খসড়া দলগুলোর কাছে ৮ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় পর্বে ভিন্নমত ছাড়া ১১টি...
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। সনদের বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দলগুলোর কাছে সমন্বিত খসড়া পাঠানো হয়। এতে সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা রয়েছে। যদিও বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়নি। জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। আগামী সপ্তাহে বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত হওয়ার পর সব দল সই করার মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে। খসড়ায় জুলাই জাতীয় সনদকে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দলিল’ হিসেবে...
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস জুলাই ঘোষণাপত্রে ‘সংস্কারকৃত সংবিধান’ শব্দ ব্যবহার করে গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধানের দাবিকে পাশ কাটিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আখতার হোসেন এ মন্তব্য করেন।আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র পেয়েছি। একটা অপূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্ট। সেই জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রস্তাবে বলা হলো, আগামী নির্বাচনের পর সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্র যুক্ত করা হবে। সংস্কারের বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সেই বিষয় নিয়ে যখন আলোচনার দাবি জানানো হলো, তখন কমিশন তাদের (এনসিপি) সঙ্গে বসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে কমিশন। জুলাই সনদের এখনো চূড়ান্ত খসড়া এনসিপি পায়নি। ঠিক সেই...
‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন বিতর্কিত হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই প্রধান’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ড. বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন। বদিউল আলম মজুমদার বলেন,“আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিবার্চন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে নির্বাচন হওয়া জরুরি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।” আরো পড়ুন: কোনো দল চায় না চায়, সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই: প্রেস সচিব ‘সরকার না চাইলে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না’ উল্লেখ করে বদিউল আলম বলেন, “এবারের নির্বাচনে লেভেল...
প্রথমেই অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এ কারণে যে তারা জনমতের তোয়াক্কা করে। অতীতে রাজনৈতিক সরকারগুলো জনমতের তোয়াক্কা করেনি। সংবাদমাধ্যম থেকে নাগরিক সমাজ, বিরোধী দল থেকে বিদেশি কূটনীতিক—কে কী বললেন, তারা আমলে নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করত না। সংবিধানের কাঠামোগত দুর্বলতার চেয়েও বড় বিপদ মানসিক স্বেচ্ছাচারিতা। যেই সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রে টমাস জেফারসনকে প্রেসিডেন্ট বানায়, সেই সংবিধানের ভিত্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রেসিডেন্ট হন। যেই সংবিধান ভারতে জওহরলাল নেহরুকে প্রধানমন্ত্রী বানায়, সেই সংবিধান বলে নরেন্দ্র মোদিও প্রধানমন্ত্রী হন। সংবিধানের গণতন্ত্রায়ণের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করছি না; কিন্তু সেই সংবিধান হেফাজতের দায়িত্ব কার হাতে, সেটি তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে মোট ১১টি কমিশন গঠন করে, যার প্রতিবেদন অনেক আগেই পেশ করা হয়েছে; কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্যগুলো তেমন আলোচনায় আসেনি। সরকারও এত দিন আগ্রহ...
আগের পর্বআরও পড়ুনসেকি, তুমি না জিম করো?৭ মিনিট আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার অঙ্গীকার অংশে কিছু পরিবর্তন আনছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। নতুন সমন্বিত খসড়ায় জুলাই সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, জনগণের সর্বজনীন অভিপ্রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সনদ প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই এই সনদ প্রচলিত আইন বা আদালতের রায়ের ওপর প্রাধান্য পাবে; এ জন্য একটি বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, জুলাই সনদের কোনো শব্দ, বাক্য ও নীতিমালা বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে, সে ক্ষেত্রে সনদই প্রাধান্য পাবে। সনদের বৈধতা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অঙ্গীকার অংশের কয়েকটি বিষয়ে আইনি দিক আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।...
বড় পাথর, মাঝারি পাথর, ছোট পাথর। তার মধ্য দিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলধারা। সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের সেটাই ছিল আকর্ষণ। পর্যটকেরা গিয়ে পাথরের ওপর বসতেন, ছবি তুলতেন।অবশ্য এখন তা অতীত। চার মাস ধরে লুট করা হয়েছে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর। এই লুটের কথা সবাই জানত। কারণ, দিনদুপুরে চলেছে লুটপাট। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন কিছু কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তা জোরালো ছিল না। ফলে পাথর লুট ঠেকানো যায়নি। সরেজমিনে গত মঙ্গলবার দেখা যায়, সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে যেখানে বড় বড় পাথর ছিল, সেখানে এখন গর্ত। সব জায়গায় পাথর তুলে নেওয়ার চিহ্ন। প্রায় ৮০ শতাংশ পাথর লুট করা হয়েছে। ফলে সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। কমেছে পর্যটকের সংখ্যা।বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ থাকলেও পাথর উত্তোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতাদের...
৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন। এটা খুব সময়োপযোগী ও মানুষের হৃদয়ে স্পর্শ করা একটি তারিখে করা হয়েছে। কারণ, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিলেন।জুলাই ঘোষণাপত্রে খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে মহান স্বাধীনতা, বাকশাল-পরবর্তী ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান, এরশাদের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সময়ে সংসদীয় সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন, এক–এগারো সরকারের অপতৎপরতা, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের অপশাসন, হত্যাযজ্ঞ, দুর্নীতি, গুম, খুনের কথা উল্লেখ আছে।জুলাইয়ের ‘৩৬ দিনে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা, অগণিত মানুষকে পঙ্গু ও দৃষ্টিহীন করে দেওয়া, আহত আন্দোলনকারীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের এবং আন্দোলনের অপরাপর রাজনৈতিক দলসহ সবার নিরাপত্তা বিধান করা, তাদের অবদানকে পরবর্তী সংসদে সংবিধানে...
গত এক বছরে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে একের পর এক বৈপ্লবিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক ঝাঁকুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তরুণেরা রাস্তায় নেমে জবাবদিহিমূলক সরকার, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও কর্মসংস্থানের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। মানবাধিকারকর্মী বিনাইফার নওরোজি এই তরঙ্গকে যথার্থভাবে ‘ইয়ুথকোয়েক’ বা ‘তরুণকম্প’ বলে অভিহিত করেছেন। সবচেয়ে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে বাংলাদেশে। সেখানে সরকারি চাকরির কোটাব্যবস্থার রাজনীতিকীকরণ নিয়ে সৃষ্ট ক্ষোভ ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার উৎখাতের আন্দোলনে রূপ নেয় এবং এর মধ্য দিয়ে এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’র পতন ঘটে।আরও পড়ুনগণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে০৮ আগস্ট ২০২৫কেউ কেউ হাসিনার পতনকে কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে জনতার সাহসী সংগ্রামের বিজয় হিসেবে উদ্যাপন করেছেন। কিন্তু বহু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এটিকে অশান্তি ও অনিশ্চয়তায় ভরা এক নতুন সময়ের সূচনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।...
আলোচনারাশেদা কে চৌধূরীনির্বাহী পরিচালক, গণসাক্ষরতা অভিযান ওসাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা১৯৯৫ সালের বেইজিং ঘোষণা ও কায়রোর আইসিপিডি সম্মেলনের সেই স্লোগান, ‘আমাদের বাদ দিয়ে আমাদের নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না।’ কিন্তু ৩০ বছর পর দেখছি, বাংলাদেশ যেন উল্টো দিকে হাঁটছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যাক গিয়ারে হাঁটার জন্য দায়ী কে?বৈষম্য বিলোপ, বিচার ও সংস্কার—এই তিন প্রত্যাশা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। কিন্তু নারীকে বাদ দিয়ে ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। বৈষম্য বিলোপের আশা এখন ‘গুড়ে বালি’।কাদের চাপে পড়ে কোন পথে হাঁটছে দেশ? আমরা কি ধরে নেব সরকার পক্ষপাতদুষ্ট? একটা বিশেষ গোষ্ঠী বা বিশেষ ব্যক্তি বা কারও কাছে অন্তর্বর্তী সরকার যে পক্ষপাতদুষ্ট নয়, সেটা তাদেরই প্রমাণ করতে হবে।আমাদের নতুন করে গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করতে হবে, নারীর অবদান গবেষণা ও আন্দোলনের মাধ্যমে দৃশ্যমান করতে...
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। ৬৭টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম এই কমিটি আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্রত্যাখ্যানের কথা জানায়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদে মনোনয়নের মাধ্যমে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।প্রসঙ্গত, সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা বাড়ানো ও সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচনব্যবস্থা চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে নারী সংগঠনগুলো। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করলেও এ বিষয়ে একমত হয়নি দলগুলো। এ অবস্থায় নারী আসন নিয়ে আগের ব্যবস্থাই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে আজ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি জনগণের ভোটে...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।এর আগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য মো. আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সব ধরনের সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। ১৫ অগাস্ট ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। তার আগেই আরো এক মাস সময় বাড়ানো হলো। কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান। কমিশন গত শুক্রবার...
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা সামনের মুখ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের প্রান্তিক করে তোলার একটি চেষ্টা প্রবলভাবে দৃশ্যমান। নারীর অধিকার রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাও এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। সংসদে নারী আসন ও নারীর মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা শুধু দুঃখজনকই নয়, সমাজের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বিকাশের পথেও বড় একটি ধাক্কা। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলগুলো নারীদের জন্য আগের মতোই ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য।বাংলাদেশের জন্মের ৫৩ বছর পার হয়ে গেলেও রাজনীতিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব একেবারে তলানিতে রয়ে গেছে, আর সেই প্রতিনিধিত্বটাও আবার মোটাদাগে আলংকারিক। মুখে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বললেও আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে চিন্তার দিক থেকে চরম রক্ষণশীল ও পুরুষতান্ত্রিক—এই বাস্তবতা তারই প্রতিফলন। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা...
জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল রোববার প্রথম দিনের বৈঠকে ছয়জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়ে একাধিক বিকল্প পরামর্শ এসেছে। এর মধ্যে আছে গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন, জুলাই সনদকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ (রেফারেন্স), বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা দেখা।গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আইন ও সংবিধানবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সময় অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও উঠে আসে। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করবে...
জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রবিবার (১০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশ নেন সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। আরো পড়ুন: আওয়ামী লীগ বাইরে কী করছে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রেস সচিব ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা দেশে টিকতে পারবে না: মৎস্য উপদেষ্টা সভায় ঐকমত্য কমিশনের...
ঐকমত্য কমিশনের দুই মাসব্যাপী টানা আলোচনার সর্বশেষ দিনে (৩১ জুলাই ২০২৫) বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি। ঐকমত্য কমিশন মনে করে, রাষ্ট্রপতির পদটি ‘আলংকারিক’ না থেকে তা ‘ক্ষমতাশালী’ হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদধারীদের নিয়োগ রাষ্ট্রপতির সরাসরি সিদ্ধান্তে হওয়া প্রয়োজন।ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব করে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, এনএসআই প্রধান, ডিজিএফআই প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১২টি পদে নিয়োগে রাষ্ট্রপতির সরাসরি এখতিয়ার থাকা দরকার। এ বিষয়ে আলোচনাকালে বিভিন্ন দল বিভিন্নমুখী অবস্থান নেয়। সংসদীয় কাঠামোয় রাষ্ট্রপতির ‘আলংকারিক’ পদকে এভাবে ক্ষমতায়িত করার চেষ্টা নজিরবিহীন। রাষ্ট্রপতির এ ধরনের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা নির্বাহী বিভাগ; অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত শাসনকাঠামোয় ভারসাম্যের পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। প্রকারান্তরে সংসদীয় কাঠামোয় আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের...
নারীর প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলের আচরণ পশ্চাৎগামী। জুলাই ঘোষণাপত্র থেকে সচেতনভাবে নারী শব্দটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নারীর মনোনয়ন নিয়ে ‘মাছের বাজারের’ মতো দর-কষাকষি করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। কমিশন ও দলগুলোর এই রক্ষণশীল অবস্থানের জন্য ভবিষ্যতে তাদের খেসারত দিতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে।গতকাল শনিবার প্রথম আলো আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আগামী নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন ও নারীর মনোনয়ন নিয়ে কমিশন ও রাজনৈতিক দলের অবস্থান নিয়ে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আশায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য বিলোপে সরকার ব্যর্থ। নারী আসন ও মনোনয়ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এ আলোচনায় তাঁরা নারীদেরও রাখার দাবি জানিয়েছেন।আবারও আলোচনায় বসতে...
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে ‘সতর্কতার সঙ্গে’ স্বাগত জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলটি বলেছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা নিয়ে তারা এখনো পুরোপুরি আস্থাশীল নয়। এক বছর হতে চলেছে, কিন্তু রাজনৈতিক দল বা অংশীজনদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো আয়োজন বা উদ্যোগ তারা এখনো দেখতে পাচ্ছে না। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ তারা বাস্তবায়নে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে, যেটা দুঃখজনক।আজ শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এবি পার্টি।সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সময় ঘোষণা প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, রমজানের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে...
দেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ‘একটা অঘটন ঘটে গিয়েছে’ উল্লেখ করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা ব্যর্থ হয়েছি, আমি তো বললাম...আমি অকপটে স্বীকার করছি, আমরা ব্যর্থ হয়েছি। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটা অঘটন ঘটে গেছে, একটা বিপর্যয় ঘটে গেছে। তো এখন এটার জন্য আমরা সবাই দায়ী।’ আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদার এ কথাগুলো বলেন। এই গোলটেবিলের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন। এতে সংসদে নারী আসন নিয়ে ধারণাপত্র তুলে ধরেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার।আলোচনায় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয়, ঐকমত্য কমিশন এবং অন্য কাউকে দোষারোপ করে এতে জয়...
জুলাই জাতীয় সনদ বা রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে আনা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে নিজ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তারা বলেছে, সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ভর করছে বিশেষজ্ঞ মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ জন্য আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। ওই আলোচনার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের তৃতীয় পর্বের আলোচনা হবে।গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা জানান। জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ কবে নাগাদ স্বাক্ষরিত...
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেছেন, 'আমরা যদি সংস্কার কমিশনগুলো দেখি, সেখানে নারী প্রতিনিধির অবস্থা আমরা সবাই জানি। আর আমাদের ঐকমত্য কমিশনের কথা তো বাদ দিলাম, আর কী বলব সেটা বলার কিছু নেই। এটা একটা বয়েজ ক্লাব।'আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে 'জাতীয় সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। এতে সংসদে নারী আসন নিয়ে ধারণাপত্র তুলে ধরেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার।আরও পড়ুননারীদের জন্য ৫% আসন, এই দয়াদাক্ষিণ্য কেন : ফারাহ কবির১ ঘণ্টা আগেসব জায়গায় নারীদের বাদ দেওয়ার এবং একটু পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শাহীন আনাম। তিনি বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্যগুলো এই সরকার বিবেচনায় নেবে...
নির্বাচন কমিশন, খান ফাউন্ডেশনের ‘‘এমপাওয়ারিং উইমেন থ্রু রির্জাভড সিট ইন পার্লামেন্ট: ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স?’ (সংসদে সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ণ: লড়াই নাকি পালানোর প্রবণতা?’ শিরোনামের গবেষণা প্রতিবেদন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন নিউজ লেটার ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ১৯৭৩-১৯৭৫ মেয়াদের প্রথম জাতীয় সংসদে ১৫টি সংরক্ষিত আসনের প্রতিনিধিরাই ছিলেন সংসদের নারী প্রতিনিধিত্ব। ১৯৭৯-১৯৮২ মেয়াদে দ্বিতীয় সংসদে ২ জন নির্বাচিত ও ৩০টি নারী আসন মিলিয়ে মোট ৩২ জন নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮-৯০ মেয়াদে চতুর্থ সংসদে সংরক্ষিত আসন ছিল না। ৪ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৯১-১৯৯৫ মেয়াদে পঞ্চম সংসদে ৫ জন নির্বাচিত সহ ৩৫ জন নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিএনপির এক তরফা ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩ জন নারী সরাসরি নির্বাচিত হন। ৩০টি সংরক্ষিত আসন...
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা এবং পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন¬— কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এসবের মধ্যে কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যকে সরাসরি বিবেচনা করলেই হবে না, বরং জাতীয় সংসদের গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোর নেতৃত্বে বিরোধী দলীয়...
ছবি: প্রথম আলো
জুলাই ঘোষণাপত্রকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের সম্ভাব্য সূচনা উল্লেখ করে একে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে ঘোষণাপত্রে ব্যক্ত আকাঙ্ক্ষাকে জাতীয় সনদে রূপ দিতে হবে।বুধবার এক বিবৃতিতে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ (স্বপন) এসব কথা বলেন।জেএসডির এই দুই নেতা বলেন, ঘোষণাপত্রে অতীতের ব্যর্থতার সঙ্গে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রকাঠামোর দিকনির্দেশনায় শুধু দলভিত্তিক ক্ষমতা নয়, শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবী, নারী, প্রবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন। এটাই ঔপনিবেশিক কাঠামোর বিপরীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায় অনুযায়ী অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণতন্ত্রকে কেবল নির্বাচন ও সংসদের ভোটাধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সমাজে ও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে বহুমাত্রিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে কার্যকর ও অর্থবহ করতে হবে। অতীতমুখী ও দলীয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে জাতীয় ঐকমত্য...
জুলাই ঘোষণাপত্রে আবারও বিজয়ের সুফল বেহাত করার ইঙ্গিত স্পষ্ট বলে সতর্ক করেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। দলটি মনে করছে, এই ঘোষণাপত্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি এবং অভ্যুত্থানের সুফল নিশ্চিত করার কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি। আজ বুধবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন’ প্রসঙ্গে দলটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসনাত কাইয়ুম। তবে এই ঘোষণাপত্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি। হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ঘোষণাপত্র জাতিকে অনুপ্রাণিত না করে চব্বিশ নিয়ে জাতির মধ্যে পরিবর্তনের যতটুকু আশা ছিল, সেটাকে লক্ষ্যহীন করে দিয়েছে। এ ঘোষণাপত্রে আবারও বিজয়ের সুফল বেহাত করার ইঙ্গিত স্পষ্ট।সরকার সংবিধান সংস্কার ও...
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন। কিন্তু এটি রাস্তায় নেমে আসা লাখ লাখ ছাত্র–জনতার একমাত্র প্রত্যাশা ছিল না। গণ-অভ্যুত্থানের কোনো লিখিত ইশতেহার না থাকলেও মিছিলে, স্লোগানে, বক্তৃতায়, দেয়াললিখনে প্রত্যাশাগুলো ফুটে উঠেছিল।এ রকম কতগুলো দেয়াললিখন ও স্লোগান হলো, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’, ‘সংস্কার চলছে’, ‘আমরাই গড়ব বৈষম্যহীন সরকার’, ‘মেয়ে–ছেলে বৈষম্য নয়, মানুষ হিসেবে সবার পরিচয়’, ‘ধর্মবৈষম্য নিপাত যাক’, ‘সমতল থেকে পাহাড়, এবারের মুক্তি সবার’, ‘চা–শ্রমিকের বেতন বাড়াও’, ‘একজন রিকশাচালকের সন্তানও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখে’, ‘এলিটদের রাষ্ট্রব্যবস্থা না, গণমানুষের রাষ্ট্রব্যবস্থা’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি।এসব দেয়াললিখনের মধ্য দিয়ে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, শ্রেণি ইত্যাদি সব ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়ে উঠেছিল। শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি উঠেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় কতটা পূরণ হলো সেসব প্রত্যাশা?২.অভ্যুত্থানের মধ্য...
জামায়াতে ইসলামী মনে করে, অন্তরবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্রে জন–আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি। একই সঙ্গে জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে বলে জানিয়েছে দলটি।আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো বলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণাকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের দাবির বাস্তবায়ন বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের হওয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই। তবে তার আগে জুলাই সনদদের আইনি ভিত্তি ও নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সরকার চাইলে এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করে জামায়াত।সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত। পিআর পদ্ধতি ছাড়া জামায়াত নির্বাচন অংশগ্রহণ করবেন কি না, এমন প্রশ্নের...
১৯৭২ সালে নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫টি। পর্যায়ক্রমে বাড়তে বাড়তে ২০১১ সালে এসে এই সংখ্যা ৫০–এ উন্নীত হয়। ১৫ থেকে ৫০-এ আসতে প্রায় ৩৯ বছর লেগেছে। অথচ বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। স্বাধীনতার পর শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত অনেক নারী এখনো ঠিকমতো মজুরিই পান না, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি তো দূরের কথা। স্বাস্থ্য উন্নয়নের ডামাডোলে সবচেয়ে নিচে চাপা পড়ে থাকে নারীর শিক্ষা। এর মধ্যেই লড়াই করছেন নারীরা। লড়াই করতে গিয়ে সম্মুখসারিতে থাকছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পরিসরে এসে পেছনের আসনে বসতে বাধ্য হচ্ছেন।এত দিনের অভিজ্ঞতায় স্পষ্ট যে রাজনৈতিক দলগুলোর সংসদে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে নারী আসন বণ্টন করা হলে রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রী, কন্যা বা আশীর্বাদপুষ্টরা মনোনীত হন। অনেক ক্ষেত্রে মনোনয়ন পেতে মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন ঘটে। এর মধ্য দিয়ে...
বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় সংকটের বিকল্প কোনো সমাধান নেই। কিন্তু একটি চিহ্নিত মহল এই ঐকমত্যের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বানচালের অপচেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় মঙ্গলবার দুপুরে বিজয় মিছিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জহির উদ্দিন এ কথাগুলো বলেন।বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জহির উদ্দিন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অনুকরণে বিএনপির কেউ যদি গডফাদার সংস্কৃতির প্রবর্তন করতে চায় তাদের চিহ্নিত করে দল এবং আইনের মুখোমুখি করার জন্য আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নকে আমরা মোকাবিলা করবই।’অনুষ্ঠানে...
১৯৭১ সালে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গড়ে তোলা, যেখানে নাগরিকদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের অন্যতম সাংবিধানিক অঙ্গীকার হলো প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে জনপ্রতিনিধিদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে কিছু নির্বাচন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বহুলাংশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আবার কিছু নির্বাচন ছিল একতরফা ও বিতর্কিত, যে নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে দলীয় কিংবা সামরিক সরকারের অধীনে। সংবিধান থেকে তত্ত্বাধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দেশের অধিকাংশ জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। বস্তুত নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ফলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই অকার্যকর হয়ে পড়েছিল এবং জবাবদিহির কাঠামো ভেঙে...
দীর্ঘ সংলাপ, জরিপ ও জনমত যাচাই শেষে প্রণীত জাতীয় সনদের একটি চূড়ান্ত খসড়া হস্তান্তর করেছে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সোমবার (৪ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সনদ হস্তান্তর করা হয়েছে। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে সনদটি তুলে দেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সদস্য বিশিষ্ট উন্নয়ন চিন্তাবিদ ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এমন একটি সনদ প্রণয়নের উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। এটি আগামী জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর নীতিগত কাঠামো তৈরিতে সহায়ক হবে।” সুজন জানায়, ২০১৩ সাল থেকেই তারা একটি মৌলিক জাতীয় সনদ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক...
জাতির সামনে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ উপস্থাপন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ব্যস্ত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করার কাজে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত দুটি বিষয় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’। এ দুটি বিষয় একই বা কাছাকাছি মনে হলেও আসলে তা নয়। ঘোষণাপত্র ও সনদ দুটি পুরোপুরি আলাদা বিষয়। সহজভাবে বলা যায়, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি দলিল। যার মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। অন্যদিকে জুলাই জাতীয় সনদ হলো—রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ঐকমত্যের একটি রাজনৈতিক দলিল।গত বছরের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শুরু হওয়া আন্দোলন এক পর্যায়ে রূপ নেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ও দেশ ছেড়ে ভারতে...
রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার লক্ষ্যে তৃতীয় পর্বের কাজ শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই পর্বে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। পরে সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর সই নেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে জুলাই জাতীয় সনদ।গতকাল রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। কবে নাগাদ এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয় কমিশন। অবশ্য ইতিমধ্যে কমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো প্রতিবেদন দেয়। পরে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা গত বৃহস্পতিবার শেষ হলো। ২৩ দিন ধরে এই আলোচনা চলে। প্রথম পর্বের আলোচনা ছিল এর চেয়েও দীর্ঘ। প্রায় দুই মাস ধরে চলা এই আলোচনা নিয়ে দুটি কথা বলতে চাই। প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, এত দিনকার বৈঠকে ১৯টি বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৯টি বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে।প্রায় ছয় মাস আগে ৫টি বিষয়ে মোট ১৬৬টি ইস্যুতে প্রথম পর্বের সংলাপ শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত ঐকমত্য কমিশন ইস্যুগুলো তৈরি করে। পুলিশ বিভাগেও সংস্কারের প্রশ্ন ছিল। তবে পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় স্থান পায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিভাগীয়ভাবেই সংস্কারের এ প্রক্রিয়া চলবে। অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ইত্যাদি নিয়ে মোট ১৫টি বিষয়ের ওপর আলোচনা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে কেবল অর্থনীতির ওপর যে টাস্কফোর্স...
দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্দোলন আর আস্থাহীনতার পথ পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন দাঁড়িয়ে এক সম্ভাবনাময় সন্ধিক্ষণে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর কয়েক মাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে চূড়ান্ত করেছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫’। এর ওপর ভিত্তি করেই ৫ আগস্ট ঘোষিত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি কেবল একটি রাজনৈতিক দলিল নয়, বরং তা হতে পারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও সংলাপভিত্তিক ভবিষ্যতের নতুন সূচনা। আলোচনা ও ঐকমত্যের কাঠামো জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মার্চ ২০২৫ থেকে দুই দফায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে। প্রথম পর্যায় (২০ মার্চ–১৯ মে): ৩৩টি দলের সঙ্গে পৃথক আলোচনা হয়। দ্বিতীয় পর্যায় (২ জুন–৩১ জুলাই): ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন ২৩ দিনব্যাপী ধারাবাহিক বৈঠকে। এ প্রক্রিয়ায় মোট ১৯টি সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কার ইস্যুতে সম্মতির...
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে জাতীয় সংসদের আসনসংখ্যা ৪০০–এ উন্নীত করে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটে নারী সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। বর্তমান আইন অনুযায়ী, বাকি ৩০০ আসনে নারী–পুরুষনির্বিশেষে সবাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।এই প্রস্তাব পুরোপুরি নতুন, তা–ও বলা যাবে না। মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন নারী সংগঠন সংসদের নারী আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি ভোটের দাবি জানিয়ে আসছিল। বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোও এই দাবির পক্ষে ছিল। এই প্রেক্ষাপটে সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সংকীর্ণ মনোভাব ও একগুঁয়েমির কারণে সেই প্রস্তাব চূড়ান্ত রূপ নিতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলো নারীর আসনসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সহমত পোষণ করলেও নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে একমত হতে পারেনি।বর্তমানে ৩০০ আসন নিয়ে জাতীয় সংসদ এবং প্রতিটির নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারিত। ১০০ আসন বাড়াতে হলে নতুন করে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।...
সব সম্ভবের বাংলাদেশ। এখানে যাঁরা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে উচ্চকণ্ঠ, তাঁদের সঙ্গে প্রকৃত শ্রমিকদের সম্পর্ক ক্ষীণ। যাঁরা কৃষকের অধিকার নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা কৃষকের সমস্যাটাই জানেন না। শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে তাঁরাই মাঠ গরম করেন, যাঁদের ছাত্রত্ব অনেক আগেই শেষ হয়েছে।চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে যে নারী সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, রাষ্ট্র সংস্কারে তারাই সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হলো। সরকার গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে নারী অধিকারসংক্রান্ত কমিশন ছাড়া কোনোটির প্রধান পদে নারী ছিলেন না। অন্যান্য কমিটিতে নারী বা সংখ্যালঘু ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন।জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নারীর অধিকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ম্যারাথন আলোচনা করলেও কমিশনে কোনো নারী প্রতিনিধি ছিলেন না। এ ছাড়া তারা যেসব দলের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মধ্যেও নারী প্রতিনিধি ছিলেন খুবই কম। অর্থাৎ জাতীয় সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনাটি...
ঐকমত্য হওয়া প্রস্তাব বা সুপারিশগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। এসব প্রস্তাব বা সুপারিশ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দল ও জোট এবং সরকারের করণীয় নিয়েও আলোচনা অব্যাহত রাখবে কমিশন।আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে কমিশনের সদস্যদের একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’–এর প্রাথমিক খসড়ার ওপর অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জোট মতামত দিয়েছে। যেসব দল এখনো সাড়া দেয়নি, তাদের দ্রুত মতামত জানাতে তাগিদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা হয়। সেইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঐকমত্য হওয়া প্রস্তাব ও সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিশন পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে এবং পরবর্তী ধাপে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে নতুন করে আলোচনা করবে। কমিশন মনে করছে, প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য দলগুলোর পাশাপাশি সরকারেরও করণীয় রয়েছে। এজন্য আলোচনা ও পরামর্শ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে সভায় জানানো হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাবনা ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। অধিকাংশ দল মতামত দিলেও যেসব দল...
প্রথম আলো: গণ–অভ্যুত্থানের পর অংশীজনদের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে দাবি করছেন। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এ ধারণাকে ব্যাখ্যা করছেন। এই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রায়োগিক সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক রূপ আসলে কেমন বলে আপনি মনে করেন?কাজী মারুফুল ইসলাম: আমার কাছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হলো, ক্ষমতার নতুন বিন্যাস। অর্থাৎ ক্ষমতার পুরোনো কেন্দ্র যেমন রাজনৈতিক দল, সংসদ, বিচার বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় সরকার, আমলাতন্ত্র, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, গণমাধ্যম—এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং একই সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালনে উপযোগী সক্ষমতা গড়ে তোলা।একটা উদহারণ হতে পারে যে সংসদের ক্ষমতা ভেঙে এক কেন্দ্রের জায়গায় একাধিক কেন্দ্র স্থাপন করা, যাকে আমরা ‘বাই ক্যামেরাল’ সংসদের কথা বলছি; ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিবর্তনে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে কোনো নির্দিষ্ট বিনিয়োগকারীদের হাত থেকে মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা; পুলিশের বর্তমান...
প্রথমত যে বিষয়টিতে আমি গুরুত্ব দিতে চাই, সেটি হলো ঐকমত্য কমিশন কিছু সংস্কার প্রস্তাব ‘নোট অব ডিসেন্ট’সহ (ভিন্নমত) গ্রহণ করছে। আমি এটি সমর্থন করি না। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে (গত নভেম্বরে) বলেছিলেন, তাঁরা মূলত ফ্যাসিলিটেটরের (এগিয়ে নিতে সহায়তাকারী) ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর ভাষায়, যতটুকু সংস্কারে সবাই একমত হবেন, ততটুকুই বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হবে। তিনি সংখ্যার উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, যদি ১০০টি প্রস্তাব আসে, আর সব দলের সম্মতি মেলে মাত্র ১০টির ক্ষেত্রে, তাহলে কেবল সেই ১০টি বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হবে, বাকিগুলো নয়। আমি মনে করি, ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা উচিত নয়; বরং যেসব বিষয়ে সব রাজনৈতিক...
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কয়েক মাস ধরে যে আলোচনা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, তা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এর আগে এতগুলো রাজনৈতিক দলের একত্রে বসে মতবিনিময় বা যুক্তিতর্ক উত্থাপন করার নজির নেই। এবার দলগুলো ধৈর্য ধরে একটা ইতিবাচক পরিবেশে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে যে আলোচনা করেছে, তা বিরল।প্রথম দিকে আলোচনায় কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে সফল আলোচনাই হয়েছে। এটা অনেকটা ‘মিনি পার্লামেন্টের’ মতো কাজ করেছে, যা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, এটি দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নের পথও প্রশস্ত করবে।আমাদের লক্ষ্য ছিল কতগুলো মৌলিক সংস্কারের দিকে নজর দেওয়া। এর মধ্যে অন্যতম ছিল কতগুলো সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রক্রিয়া। এত দিন দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নির্বাহী বিভাগ এসব নিয়োগ দিয়ে এসেছে। যার ফলে...
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষে মৌলিক সংস্কারের ১৯টি বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত এসেছে। এর মধ্যে ৭টি বিষয়ে সব দল একমত হয়েছে আর ১২টি বিষয়ে বিভিন্ন দলের ভিন্নমত ও মন্তব্যসহ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অগ্রগতি, যা আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘ হতাশার মাঝে কিছুটা হলেও আশাবাদের জায়গা তৈরি করে।চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান যে বৃহৎ জন-আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে, তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো বাংলাদেশের নাগরিকেরা আর পুরোনো ব্যবস্থায় ফিরতে চান না। অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা যাতে কোনোভাবে ফিরতে না পারে, তার জন্য রাষ্ট্র, সরকার ও শাসনকাঠামোয় মৌলিক সংস্কার প্রত্যাশা করেছেন তাঁরা।জন-আকাঙ্ক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রথম পর্যায়ে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে। এরপর...
রাষ্ট্রের কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী সংস্কার আনা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হলেও এখন পর্যন্ত জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে প্রস্তাবিত সংস্কারের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত বা আলোচনা হয়নি।বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঠিক করা বা জুলাই সনদকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা না হলে বেশ কিছু দলের সনদে সই না করার আশঙ্কা আছে। তাই এ বিষয়ে একটি ঐকমত্য হওয়ার পরই জুলাই জাতীয় সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হতে পারে। এ কারণে দলগুলোর স্বাক্ষর নিয়ে জুলাই সনদ গ্রহণে একটু দেরি হতে পারে।বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিজেরা আগে আলোচনা করবে। সনদের খসড়া চূড়ান্ত করার পর বাস্তবায়ন পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার কথা ভাবছে কমিশন। জুলাই...
সংসদে নারীদের জন্য আসন বাড়ানো ও সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে বলা হলেও তারা তা শোনেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, এমনকি দলগুলো থেকে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব করা হলেও তারা তাতে রাজি হয়নি। কমিশন দলগুলোর ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না বা দলগুলোকে নির্দেশ দিতে পারে না।নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরও সংসদে নারীর আসন সংখ্যা না বাড়ানো ও সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি না মেনে প্রচলিত ব্যবস্থা বহাল রাখা নিয়ে নারী অধিকারকর্মীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জবাবে আলী রীয়াজ শনিবার প্রথম আলোকে এ কথাগুলো বলেন।ঐকমত্য কমিশনে নারী প্রতিনিধি না থাকা ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি কমিশন গঠন...
জাতীয় সংসদে নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নারী অধিকারকর্মীরা। কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তাঁরা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোনো সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গ্রহণ করেনি। নারী অধিকারকর্মীদের দেওয়া প্রস্তাবও উপেক্ষা করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় নারী অধিকারের বিষয়টি সবচেয়ে কম গুরুত্ব পেয়েছে।‘নারীকে বাদ দিয়ে নারীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নারী অধিকারকর্মীরা এ কথাগুলো বলেন। আজ শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘গণসাক্ষরতা অভিযান ও সকল সহযোগী সংগঠন’–এর ব্যানারে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।সভায় বক্তারা বলেন, নারী অধিকারকর্মী ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বাড়িয়ে সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচন করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন এই সুপারিশ গ্রহণ করেনি। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী নারী হলেও ঐকমত্য কমিশনে নারীর কোনো...
অন্তর্বর্তী সরকারকে নানাভাবে বাধা দেওয়ায় রাষ্ট্রের যে কাঙ্ক্ষিত আমূল পরিবর্তন, সেটি সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এক সেমিনারে আসিফ মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন: বাংলাদেশ ২.০’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। সেমিনারটি সাজানো হয়েছে পাঁচটি প্যানেল আলোচনা দিয়ে।চতুর্থ প্যানেল আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির খতিয়ান’। এতে অংশ নেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীরা অভ্যুত্থানের পরে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ভঙ্গ করতে চায়নি উল্লেখ করে এর কারণ হিসেবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এর আগে সামরিক শাসনের অভিজ্ঞতা আমাদের জাতির রয়েছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে পাকিস্তান আমলের সামরিক...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এখন ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছে কমিশন। তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপের আলোচনায় যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো ইতিমধ্যে লিখিত আকারে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপেরগুলোও শিগগিরই পাঠানো হবে। দলগুলোর পরামর্শ বা সংশোধনী নিয়ে সেগুলো সমন্বয় করে জুলাই সনদ খুব দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর সই নেওয়া হবে। এরপর জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটা নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। এ বিষয়ে আগামীকাল রোববার ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানা গেছে।ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার কমিশনের...
ঐকমত্য কমিশনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বলেছে, দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী উৎখাত করার নিমিত্তে জুলাই অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা তা নিশ্চিত করতে উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন-ই একমাত্র সমাধান। উচ্চকক্ষের মত নিম্নকক্ষেও পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ শুক্রবার (১ আগস্ট) দলের এক বৈঠকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “পিআর নিয়ে গণমানুষের মধ্যে সাধারণ ঐক্য তৈরি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২০০৮ সাল থেকে পিআর নিয়ে কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক পিআর নিয়ে জনমত গড়ে তুলেছে, রাজনৈতিক যুথবদ্ধতা গড়ে তুলেছে।ঐকমত্য কমিশনের সাথে একক আলোচনায় পিআরের পক্ষে জোরাল অবস্থান জানিয়েছে।লিখিতভাবে পিআর নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিরা ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বারংবার এটাকে এনেছেন।কিন্তু ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা আলোচনার এজেন্ডাতে নিম্নকক্ষে নির্বাচন...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়। ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, টানা ২৩ দিনের বৈঠক শেষে ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। এসব বিষয় ‘জুলাই জাতীয় সনদ‘-এর খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তা জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত হবে। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে কিছু দলের পক্ষ থেকে নোট অব ডিসেন্টও এসেছে। নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে বেশি মতভেদ প্রধানত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বিন্যাস, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে না থাকা; সংবিধানে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নিয়ন্ত্রক ও মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিঅ্যান্ডএজি) এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংযোজনের...
গুরুত্বপূর্ণ চারটি প্রতিষ্ঠানে বাছাই কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া, সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। তবে এ দুটিসহ সাতটি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি সিদ্ধান্তে একাধিক দল ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) দিয়েছে। এসব ভিন্নমত জুলাই জাতীয় সনদে উল্লেখ থাকবে। দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা গতকাল শেষ হলেও জুলাই সনদ চূড়ান্ত হয়নি। শিগগির এটি চূড়ান্ত করার পর সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার শেষ দিন ছিল গতকাল। গত ৩ জুন থেকে শুরু করে মোট ২৩ দিন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করে কমিশন। এই সময়ে মৌলিক সংস্কারের ১৯টি...
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ধাপের ২৩তম দিনের মতো আলোচনা হয়। এর মধ্য দিয়ে মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।বৃহস্পতিবার আলোচনা শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আগেই যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছিল, সেগুলো বাদ দিয়ে এই ধাপের আলোচনার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে ১৯টি মৌলিক সংস্কারের বিষয় চিহ্নিত করা হয়। এই ১৯টি বিষয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি) রয়েছে।এই ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমাসংক্রান্ত বিধান, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, সংবিধান সংশোধন, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার...
বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিলের অভিযোগ তুলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা বর্জন করেছে বাম দলগুলো। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাসদ, বাংলাদেশ বাসদ, বাসদ মার্ক্সবাদী।বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিন তথা শেষ দিনের আলোচনার শেষ সময়ে এসে সভা বর্জন করে বাম দলগুলো।আলোচনায় সংবিধানের মূলনীতি প্রসঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হচ্ছে, সংবিধানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির কথা রাষ্ট্র পরিচালনার নীতির অংশ হিসেবে উল্লেখ থাকবে।’এ সময় বাম রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার অভিযোগ করে সভা বর্জন করে। পরে নেতারা গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের চারটি মূলনীতি হলো...
সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) বিষয়ে একমত পোষণ করলেও এটি বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট রূপরেখা চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঐকমত্যের বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন, যার পদ্ধতি এখনো সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। ফলে একটি অস্পষ্টতা থেকেই গেছে।’আজ বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২৩তম দিনের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আখতার হোসেন।উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সেই রূপরেখা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনকে কার্যকর আলোচনা জন্য আহ্বান জানান আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এনসিপির পক্ষ থেকে উচ্চকক্ষে সংবিধান সংশোধনের জন্য ‘টু-থার্ডস মেজরিটি’ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচিতরা নির্বাচিত প্রতিনিধি নন—এমন কথা বলা হলেও, বিশ্বজুড়ে এফপিটিপি (যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান) ও পিআর উভয় পদ্ধতিতেই বৈধতা...
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট। এই সদস্যরা মনোনীত হবেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর), অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর যে ভোট পাবে, সেই হারে দলগুলোর মধ্যে এসব আসন বণ্টন করা হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর কমিশন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনা চলছে। আজই আলোচনার সমাপ্তি টানতে চান বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন। আজকে আলোচনা শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।' তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যেই আলোচনার পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে,...

তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের
তিন সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) প্রধান এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।এ প্রস্তাবের ওপর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়েছে।এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে একটি ধারণাপত্র তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোকে দিয়েছেন। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে ঐকমত্য কমিশন আরও কিছু নিয়োগে রাষ্ট্রপতির স্বাধীন ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে।তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়টির পাশাপাশি আরও ৯টি নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়নের পথ রাজনৈতিক নেতারাই তৈরি করবেন। কমিশন সেখানে থাকবে অনুঘটক হিসেবে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে।” বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের শেষ দিনে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), সিপিবি, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আরো পড়ুন: সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান ৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আলী রীয়াজ জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩টি বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ অর্থাৎ ভিন্নমতের সুযোগ রয়েছে।...
যাই কিছু হোক না কেন নির্বাচন এক দিনও পেছাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।” বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস সচিব বলেন, “আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন—প্রধান উপদেষ্টা যেদিন নির্বাচন হওয়ার কথা বলেছেন, সেদিনই নির্বাচন হবে। একদিনও পেছানো হবে না। সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশেই জাতীয় ঐকমত্য গঠনে দীর্ঘ সময় লাগে। তুলনামূলকভাবে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত সময়ে একাধিকবার বসেছে, আলোচনা করেছে। এটা ইতিবাচক প্রবণতা। আমরা আশা করছি, ‘জুলাই সনদ’ একটি যুগান্তকারী...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের বৈঠকে একমত হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কমিশন ‘অনুঘটক’ হিসেবে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য কমিশন আবার বসবে।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের শেষ দিনের আলোচনার শুরুতে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সনদের দুটি অংশ। একটি অংশে ঐকমত্যের বিষয়সমূহ এবং অন্য অংশে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’শিগগিরই সনদ চূড়ান্ত করা যাবে বলে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।’আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন,...
রাজধানীতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়েছে। ‘জুলাই সনদের’ দাবিতে জুলাই যোদ্ধারা এই অবরোধ করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, তিন থেকে চারশো মানুষ শাহবাগ অবরোধ করেছেন। এতে শাহবাগ মোড় ও এর আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শেষ করে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনা এখনো শেষ হয়নি।জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের দুই বছরের মধ্যে সনদে অন্তর্ভুক্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হবে—সনদের এ বিষয়টি নিয়েই মূলত আপত্তি। দলগুলো...
এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক সংস্কারের সব প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। এর মধ্যে দলগুলোর ঐকমত্যের দলিল বা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা করার দাবি উঠেছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার লক্ষ্যে ছয়টি কমিশনের যেসব প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হবে, সেগুলো নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে। ৩১ জুলাইয়ের (আজ বৃহস্পতিবার) মধ্যে এই সনদ তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের। গত সোমবার দলগুলোকে সনদের একটি খসড়াও দেওয়া হয়েছিল। তবে সে খসড়ায় সনদ বাস্তবায়নের যে পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশ কিছু দলের আপত্তি আছে। গতকাল বুধবার...
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে, ১৪ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত সংসদে নারী আসনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে আসতে পারেনি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছে। আরও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, সংসদে নারী আসন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের এই আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নারী প্রতিনিধিত্ব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নারী কমিশনের প্রতিনিধিত্ব এবং দেশের নারী সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব অনুপস্থিত।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যানের বক্তব্যে দেখা গিয়েছিল, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদে ১০০টি সংরক্ষিত নারী আসনের পক্ষে একমত...