ভোট ছাড়া সমঝোতায় জুয়েলার্স সমিতির নতুন পর্ষদ, সভাপতি এনামুল হক খান
Published: 3rd, November 2025 GMT
আগের মতোই সাধারণ সদস্যদের ভোট ছাড়াই সমঝোতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন পরিচালনা পর্ষদ চূড়ান্ত হয়েছে। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, তিনজন সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
জুয়েলার্স সমিতির নতুন সভাপতি হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খান। তিনি আগেও জুয়েলার্স সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী রনজিৎ ঘোষ।
রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। এতে জুয়েলার্স সমিতির নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ২০২৫-২৭ মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত জুয়েলার্স সমিতির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। নির্বাচন বোর্ডের অন্য দুই সদস্য হলেন মো.
জুয়েলার্স সমিতিতে টানা দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। ২০২১ সালে প্রথমবার সমিতির সভাপতি হওয়ার আগে বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড নামে কোম্পানি চালু করেন তিনি। ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন সায়েম সোবহান আনভীর। যদিও সোনার পরিশোধন কারখানাটি এখনো চালু হয়নি।
জানা যায়, জুয়েলার্স সমিতির নির্বাচনপ্রক্রিয়া গত মাসে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সমিতির বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরসহ সদ্য বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদের ২৭ জন সদস্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। কারণ, বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা অনুযায়ী, টানা দুবার পর্ষদে থাকলে একবার বিরতি দিতে হবে। এ সুযোগে জুয়েলার্স সমিতির পুরোনো নেতারা সমঝোতার মাধ্যমে ৩৫ পদের বিপরীতে সমানসংখ্যক মনোনয়ন জমা দেন। সে কারণে কোনো ভোটের প্রয়োজন হয়নি।
নবনির্বাচিত কমিটি সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। নবনির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, ‘জুয়েলারি ব্যবসার সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করব। সমস্যার অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে সবাইকে নিয়ে কাজ করব। সোনার আমদানি সহজ করতে হবে। সোনার আমদানি সুযোগ থাকলেও প্রক্রিয়া খুব জটিল। তাতে যে দাম দাঁড়ায়, কেউ আর আমদানি করতে আগ্রহী হন না।’
সোনার অলংকার কেনায় ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে দেড় শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে দর–কষাকষি করবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান এনামুল হক খান। তিনি বলেন, ‘যত দিন সোনা আমদানি প্রক্রিয়া সহজ না হয়, তত দিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে সোনার আমদানি আগের মতো সহজ করার চেষ্টা করব আমরা।’
এদিকে জুয়েলার্স সমিতির নতুন কমিটিতে তিনটি সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আপন ডায়মন্ড হাউসের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউসের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন ফেন্সি জুয়েলার্সের অমিত ঘোষ।
এ ছাড়া ২৯ পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিলন জুয়েলার্সের মো. মিলন মিয়া, গীতাঞ্জলি জুয়েলার্সের পবন কুমার আগরওয়াল, নিউ আল ইসলাম জুয়েলার্সের তানভীর রহমান, নিউ সোনারতরী জুয়েলার্সের মো. লিটন হাওলাদার, লিলি জুয়েলার্সের বাবলু দত্ত, গৌরব জুয়েলার্সের গনেশ দেবনাথ, মুক্তা জুয়েলার্সের আশিস কুমার মন্ডল, ডায়মন্ড সিলেকশনের মিজানুর রহমান, বিপুল জুয়েলার্সের বিকাশ ঘোষ, কুঞ্জ জুয়েলার্সের সুমন চন্দ্র দে, আলভী জুয়েলার্সের মোস্তফা কামাল, নিউ সানন্দা জুয়েলার্সের ধনঞ্জয় সাহা, ডি ডামাস দি আর্ট অব জুয়েলারির শ্রীবাস রায়, ড্রিমস ইনস্ট্রুমেন্ট টেকনোলজির মো. আলী হোসেন, রিজভী জুয়েলার্সের মো. রুবেল, আনন্দ জুয়েলার্সের মো. নয়ন চৌধুরী, রিয়া জুয়েলার্সের মো. ছালাম, এসজিএল ল্যাব বাংলাদেশের ফাহাদ কামাল লিংকন, আফতাব জুয়েলার্সের গৌতম ঘোষ, মনিমালা জুয়েলার্সের মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, পরমা জুয়েলার্সের মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, রোজা জুয়েলার্সের আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, আশরাফ জুয়েলার্সের মো. রফিকুল ইসলাম, ট্রাস্ট গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের সৌমেন সাহা, মদিনা জুয়েলার্সের আককাছ আলী, রিগেল স্কাই গোল্ড অ্যান্ড জুয়েলারির মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, আল বারাকা জুয়েলার্স-২–এর শাওন আহম্মেদ চৌধুরী, আদর জুয়েলার্সের মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং আমন্ত্রণ জুয়েলার্সের পলাশ কুমার সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলার্স সমিতির বর্তমান পর্ষদের সহসভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ ১৫ ডিসেম্বর শেষ হবে। তখন বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে বর্তমান পর্ষদ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হয় ছ ন ল ইসল ম ড য়মন ড র আমদ ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আদিবা হোসেন
সর্বস্তরের মানুষের অধিকার রক্ষা হয়, এমন বাংলাদেশ বিএনপি গড়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম চায় দুর্নীতি বন্ধ হোক এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে উঠুক। জাতি চায় সত্যিকারের সংস্কার। সত্যিকারের সংস্কার হবে জনগণের মাধ্যমে।
আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মুকামবাজার এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সৈয়দা আদিবা হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বাবা প্রয়াত সৈয়দ মকবুল হোসেন লিচু মিয়া এ আসনে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকাবাসীর জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করেছেন। আমি তাঁর পথ অনুসরণ করে ধানের শীষের আদর্শে জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।’
সামাজিক, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে আদিবা হোসেন বলেন, ‘আমাদের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসা—সব দিক দিয়েই অনেক কাজ করতে হবে। আমরা একটা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সর্বস্তরের মানুষের নাগরিক অধিকার রক্ষা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি সারা দেশে কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সৈয়দা আদিবা হোসেনের প্রয়াত বাবা এই অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তাঁরই রাজনৈতিক উত্তরসূরি সৈয়দা আদিবা হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এখানকার গ্রাম, হাটে ঘুরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখন দুই উপজেলার প্রতিটি ঘরে গিয়ে তিনি বিএনপির ৩১ দফার পক্ষে জনমত গড়ে তুলছেন। তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত রাখতেও তিনি কাজ করছেন। জনবান্ধব এই নেত্রীকেই আগামী নির্বাচনে দল মনোনয়ন দেবে বলে কর্মী-সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারেক জলিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলালুজ্জামান হেলাল, সহসভাপতি আবদুল কাদির সেলিম, আমুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহেল আহমেদ, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাদেক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিলাদ আহমেদ, আলীনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ, লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ প্রমুখ।