জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল-পিএইচডি, এমফিলে মাসে ১৫ হাজার–পিএইচডিতে ২০ হাজার টাকা
Published: 3rd, November 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইএলবিএস) পরিচালিত ভর্তি কার্যক্রমে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২০ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। কলেজশিক্ষকদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা। নির্বাচিত এমফিল গবেষকেরা মাসে ১৫ হাজার টাকা এবং পিএইচডি গবেষকেরা ২০ হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ড পাবেন। আবেদনকারীরা ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৩ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দুই বছর মেয়াদি এমফিল প্রোগ্রামটি মোট ৪০ ক্রেডিটের। এতে প্রথম বছরে দুটি সেমিস্টার (মোট ১২ মাস) সম্পন্ন করার পর দ্বিতীয় বছরে থিসিস সম্পাদন করতে হবে। আবেদনকারীদের ব্যাচেলর ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে ন্যূনতম সিজিপিএ–৩ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে।
অন্যদিকে পিএইচডি প্রোগ্রামটির মেয়াদ চার বছর এবং মোট ক্রেডিট ৫২। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে প্রার্থীর এমফিল ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে একাডেমিশিয়ান, গবেষক, উন্নয়ন কর্মী বা অন্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগ্যতা শিথিল করতে পারে।
আরও পড়ুনমেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন৩০ অক্টোবর ২০২৫বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চাকরিতে নিয়োজিত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। সব প্রার্থীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। আবেদন ফরম পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে www.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত
৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে আজ। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ট্রফির জন্য লড়বে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের জন্যই প্রথমবার শিরোপা জয়ের সুযোগ এটি। তবে ট্রফির পাশাপাশি অর্থের হাতছানিও কম নয়।
বিশ্বকাপ জিতলে ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হওয়া দলের প্রাপ্তি চ্যাম্পিয়নের ঠিক অর্ধেক—২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। দুই ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে কারা কত পায়, সেটি জানতে তাই ফাইনালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাকি ৬ দলের কারা কত পাচ্ছে, সেই হিসাব এরই মধ্যে সম্পন্ন।
এবারের নারী বিশ্বকাপে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার রেখেছে আইসিসি, যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার। এমনকি ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ছেলেদের বিশ্বকাপেও মোট প্রাইজমানি ছিল কম—১ কোটি ডলার।
রেকর্ড অর্থ পুরস্কারের কারণে প্রতিটি দলের প্রাপ্তিও বেড়েছে। পুরস্কারগুলো মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্টে অবস্থান এবং জয়সংখ্যা। এর মধ্যে প্রথমটি সবার জন্যই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা পাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলও তা-ই পাবে। এই খাত থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে আড়াই লাখ ডলার।
আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশের মেয়েরা২৭ অক্টোবর ২০২৫টুর্নামেন্টে অবস্থানের ভিত্তিতে যে অর্থ, সেখানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের অর্থের পরিমাণ তো আগেই বলা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দলের মধ্যে দুই সেমিফাইনালিস্ট ১১.২০ লাখ ডলার করে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে দুই দল ৭ লাখ ডলার করে আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দুই দল ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে পাচ্ছে। বাংলাদেশ লিগ পর্বের খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়েছে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২.৮০ লাখ ডলার।
তৃতীয় খাত জয়ের সংখ্যায়। বাংলাদেশ দল ৭ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে একটিতে—পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখান থেকে জয় বাবদ ৩৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ বাবদ আড়াই লাখ, সপ্তম হিসেবে ২.৮০ লাখ এবং এক জয় বাবদ ৩৪৩১৪ ডলার মিলিয়ে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে, যা বর্তমান মুদ্রাবাজার অনুসারে (১ ডলার= ১২২.৩২ টাকা ধরে) বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
আরও পড়ুননারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়ল চার গুণ, কোন দল কত টাকা পাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫