মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে জাজিরায় ককটেল ফাটিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০
Published: 3rd, November 2025 GMT
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা অন্তত ৫০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুনর্বাসন এলাকায় নাওডোবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য কাশেম ব্যাপারীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গতকাল উপজেলার বিলাশপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একইভাবে গত ৫ এপ্রিল বিলাশপুরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। জাজিরার বিভিন্ন গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা হলেই তাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে স্থানীয় পুলিশ এসব ককটেলের উৎস খুঁজে বের করতে পারেনি।
জাজিরার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার দুই কিলোমিটার পশ্চিমে পদ্মা সেতু পুনর্বাসন এলাকা-৬ অবস্থিত। ওই এলাকাটি নাওডোবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত। ওই ওয়ার্ডের সদস্য আরিফুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য কাশেম ব্যাপারীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। পুনর্বাসন এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই দুই পক্ষের মধ্যে আজ দুপুর ১২টার দিকে ঝগড়া বাধে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র, রামদা, ঢাল, সড়কি নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া দেন। ওই সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৫০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
আরও পড়ুনশরীয়তপুরে বালতিতে ককটেল ভরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০০৫ এপ্রিল ২০২৫বালতিতে করে ককটেল নিয়ে ছুটছেন একজন। আজ সোমবার দুপুরে শরীয়তপুরের জজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র ককট ল র সদস য র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভ্যাটিকানের মানব উন্নয়ন মন্ত্রীর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভ্যাটিকানের সমন্বিত মানব উন্নয়ন মন্ত্রী কার্ডিনাল ফেলিক্স মাইকেল চের্নি। আজ সোমবার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় রোহিঙ্গা ব্যক্তি, পথশিশু, আদিবাসী ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের জীবনযাপন, চ্যালেঞ্জ ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সরাসরি ধারণা নেন।
পরিদর্শনকালে ভ্যাটিকানের উন্নয়ন মন্ত্রী কারিতাস বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় কারিতাসের প্রটেকশন, ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন) এবং শেল্টার কার্যক্রমের অগ্রগতি, প্রভাব ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
কার্ডিনাল ফেলিক্স মাইকেল চের্নির সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন ভ্যাটিকানের সার্বিক মানব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের এশিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ক ফ্রান্সেসকা ডোনা, বাংলাদেশে ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডেল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কারিতাস বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
ভ্যাটিকানের উন্নয়ন মন্ত্রী রোহিঙ্গা শিবিরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পোপ চতুর্দশ লিওর সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। যাতে ভবিষ্যতে এসব মানবিক সমস্যা সমাধানে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যায়।