গাজীপুর শহরে মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আবু ইব্রাহীমের সরকারি বাসভবনে চুরির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে শহরের আজিম উদ্দিন কলেজ রোড–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনার পর জড়িত সন্দেহে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে বাদী হয়ে মামলা করেন আদালতের নাজির বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গাজীপুর শহরের আজিম উদ্দিন কলেজ রোড–সংলগ্ন সরকারি বাসভবনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ থাকেন। গত রোববার মধ্যরাতে বাংলোর বারান্দার মূল ফটক ভেঙে অজ্ঞাতপরিচয় চোরের দল ভেতরে ঢোকে। এ সময় বিভিন্ন জিনিস খোয়া যায়।

এজাহারে আরও বলা হয়, আজ সকালে দুজন অফিস সহায়ক বাসভবনে গিয়ে চুরির বিষয়টি খেয়াল করেন। পরে কর্মকর্তাদের ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়।
মামলার বাদী আদালতের নাজির বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, চুরির ঘটনায় গাজীপুর সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শনিবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় আবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর সংলগ্ন এলাকাকেও এই ঘোষণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টো রোড ক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী এলাকা) সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হলো।

এর আগেও কয়েক দফায় ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত পৃথক গণবিজ্ঞপ্তিতে একই এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার পরও কেন আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো—জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গণবিজ্ঞপ্তির মেয়াদ থাকে ৩০ দিন পর্যন্ত। ৩০ দিন পর নতুন করে আবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শনিবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় আবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ কয়েকটি সংগঠনের বিক্ষোভমিছিলে পুলিশের ‘লাঠিপেটা’