দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে মোটাদাগে দুটি সমান্তরাল ধারায় চলে আসছে। একদিকে আছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে আসনসংখ্যা চাহিদার তুলনায় সীমিত এবং শিক্ষা ও গবেষণার আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও অপ্রতুল। অন্যদিকে আছে বিদেশে পড়ার বিকল্প, যেখানে রয়েছে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা, অত্যাধুনিক গবেষণাগার ও প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ এবং সময়মতো ডিগ্রি সম্পন্ন করার নিশ্চয়তা।

কিন্তু বাংলাদেশের হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন প্রায়ই আটকে থাকে উচ্চ খরচ, ভিসা জটিলতা ও দেশের বাইরে যাওয়ার নানা প্রতিবন্ধকতায়। অনেকের জন্য নতুন দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি ও অচেনা পরিবেশে মানিয়ে নেওয়াও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আশার কথা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সমস্যার কার্যকর সমাধানও রয়েছে, যার মাধ্যমে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার জন্য বাংলাদেশ এখন ‘অ্যাসেসমেন্ট লেভেল-১ দেশ’০২ নভেম্বর ২০২৫

২০২১ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবিডি)। প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক শিক্ষাকে স্থানীয় প্রেক্ষাপটে নিয়ে আসা। দেশের মাটিতে বসেই শিক্ষার্থীরা যেন অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য বা অন্যান্য উন্নত দেশের বিশ্বমানের শিক্ষা পায়—এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইউসিবিডি তৈরি করেছে একটি সম্পূর্ণ লার্নিং ইকোসিস্টেম।

এখানে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক কারিকুলাম অনুসরণ করে বিশ্বমানের শিক্ষকদের কাছ থেকে শেখে এবং খ্যাতনামা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত ডিগ্রি অর্জন করে। মাত্র কয়েক বছরের যাত্রায় ইউসিবিডি উচ্চশিক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে ২৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত আর প্রায় ৭৫০ জন কোর্স সম্পন্ন করে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন বা পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেছেন।

আরও পড়ুনবিদেশে উচ্চশিক্ষা: মাস্টার্স থেকে পিএইচডি ও রিসার্চের সাতসতেরো২৭ অক্টোবর ২০২৫

শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব

ইউসিবিডির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর অন্যতম এর আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব। মোনাশ ইউনভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এবং ইউনিভার্সিটি অব ল্যাঙ্কাশায়ারের মতো আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে দিয়েছে অসংখ্য সম্ভাবনার দরজা।

ইউসিবিডির মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীরা ‘ও’ লেভেল, ‘এ’ লেভেল কিংবা এইচএসসির পরই নিশ্চিতভাবে সরাসরি মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য সুযোগ করে দেয়।

আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ কেমন৩০ অক্টোবর ২০২৫

এ ছাড়া বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির পথ তৈরি হয়েছে ইউসিবিডির মাধ্যমে। ইউসিবিডির মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমা (যা মোনাশ ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের সমমান) প্রোগ্রামে ভর্তি হলে প্রথম বছর বা দেড় বছর ঢাকায় পড়ার পর শিক্ষার্থী সরাসরি মোনাশ অস্ট্রেলিয়া কিংবা মালয়েশিয়াতে স্থানান্তর হতে পারেন। ফলে সময় বাঁচে, আর খরচ কমে যায় অর্ধেকের বেশি।

ব্রিটেনের প্রাচীন ও সম্মানজনক ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সঙ্গে অংশীদারত্ব আরেক মাইলফলক। দেশে বসেই শিক্ষার্থীরা লন্ডনের একই সিলেবাস ও একই মান বজায় রেখে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন, যা বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত।

ইউসিবিডির মাধ্যমে ইউনিভার্সিটি অব ল্যাঙ্কাশায়ারের বিজনেস অ্যান্ড মার্কেটিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সাইবার সিকিউরিটিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করা সম্ভব দেশে বসেই। পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপট ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইউসিবিডি ইউনিভার্সিটি অব ল্যাঙ্কাশায়ারের আরও তিনটি নতুন প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব ল্যাঙ্কাশায়ারের এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স, ফ্যাশন প্রোমোশন অ্যান্ড মার্কেটিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি ও এমবিএ ডিগ্রিও আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চালু হবে।

আরও পড়ুনগ্লোবাল চায়না ফেলোশিপ, গবেষণার সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রে৫ ঘণ্টা আগে

সাফল্যের গল্প

চট্টগ্রামের মাশরুর মাহমুদ খান ও বারিরাহ আল মানহা বেগের গল্প ইউসিবিডির সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ‘ও’ লেভেলের পর মাশরুর যখন শুনলেন ইউসিবিডির মাধ্যমে ঢাকায় মোনাশের ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম সম্পন্ন করা যাচ্ছে, তিনি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি। সিনিয়রদের মুখে শুনে ও নিজে কিছুটা ঘাঁটাঘাঁটি করার পরে তিনি নিশ্চিত হলেন যে এটি সরকার অনুমোদিত বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠান। কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার এ সুযোগ তাকে আকৃষ্ট করে। ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম শেষ করার পর মাশরুর ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের বিজনেস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিগ্রিতে ভর্তি হন।  

অন্যদিকে চিটাগাং গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী বারিরাহ সব সময় অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু পরিবার চাইত তিনি কিছুদিন দেশে থাকুক। ইউসিবিডিতে মোনাশের ফাউন্ডেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডিগ্রির প্রথম বর্ষ শেষ করে এখন তিনি মেলবোর্ন যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

‘এখানে আমরা ঠিক সেই রিসোর্স ও কারিকুলামে পড়ার সুযোগ পাই, যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষার্থীরাও পায়। শিক্ষকেরাও সবাই মোনাশ অনুমোদিত।’ জানান বারিরাহ।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের সুযোগ এবং সম্ভাবনা কেমন২৯ অক্টোবর ২০২৫

আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি ও পরিবেশ

ইউসিবিডির শিক্ষাব্যবস্থা প্রথাগত মুখস্থনির্ভর পদ্ধতির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে জোর দেওয়া হয় সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনা–পদ্ধতি, বিশ্লেষণক্ষমতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতায়। ইউসিবিডির ইন্টারঅ্যাক্টিভ ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেন, গঠনমূলক আলোচনা করে ও নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। বিভিন্ন কেস স্টাডি ও প্রজেক্ট–ওয়ার্কের মাধ্যমে তাঁরা বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, দলগত সহযোগিতা ও নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করেন।

আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী ও বিদেশে অধ্যাপনার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকেরা পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেন্টর হিসেবেও কাজ করেন। ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সমস্যা—সব বিষয়েই তাঁরা শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।

স্মার্ট ক্লাসরুম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, ক্যাফেটেরিয়া ও রিক্রিয়েশনাল স্পেস—সব মিলিয়ে ইউসিবিডিতে একটি আধুনিক ও পরিপূর্ণ শেখার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। নিয়মিত কর্মশালার মাধ্যমে ইউসিবিডির শিক্ষার্থীরা পাবলিক স্পিকিং, রেজ্যুমে রাইটিং, ইন্টারভিউ স্কিলস ও লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে শিখতে পারে।  

ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ইউসিবিডির আরেকটি বিশেষ দিক। ইউসিবিডির কাউন্সেলিং টিম প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে তাঁর লক্ষ্য ও সামর্থ্য বুঝে একটি পার্সোনালাইজড ক্যারিয়ার রোডম্যাপ তৈরি করে দেয়। যেখানে থাকে শিক্ষার্থীদের জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোর্স উপযুক্ত হবে, স্কলারশিপ আবেদনপ্রক্রিয়া এবং ভিসা প্রসেস ইত্যাদি গাইডলাইন।

এসব সুবিধার পাশাপাশি ইউসিবিডির ডিগ্রির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা উচ্চশিক্ষা ও চাকরি উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটির গ্র্যাজুয়েটদের অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রাখে। ইউসিবিডির যেকোনো প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের দেশে কোর্স শেষ করা বা মাঝপথে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সফার—দুই ধরনের সুবিধাই পেয়ে থাকে।  

বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা, সুবিধা ও বৈশ্বিক অংশীদারত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে ইউসিবিডি প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে থেকেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা সম্ভব। মাশরুর ও বারিরাহর মতো শত শত শিক্ষার্থীর গল্পই বলে দেয়, বৈশ্বিক সাফল্যের শুরু হতে পারে এখানেই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন শ ইউন ভ র স ট ব শ বম ন র শ ক ষ অব ল য ঙ ক শ য শ ক ষ ব যবস থ ইউস ব ড র ম র প রথম র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি। 

৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে। 

আরো পড়ুন:

দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা। 

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী। 

উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” 

চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।” 

চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়। 

মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ