দেরিতে পরিশোধের শর্তে শিল্পের কাঁচামাল, কৃষি উপকরণ ও সার আমদানির সময়সীমা আরও এক বছর বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি বিক্রেতাকে আমদানির ৩৬০ দিন পরে পাওনা পরিশোধের শর্তে এসব পণ্যের এলসি খোলা যাবে। এর আগে দেওয়া এই নীতিসহায়তার মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। গতকাল এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।
বিদ্যমান নিয়মে সাধারণভাবে পণ্য খালাসের আগেই বিদেশি ক্রেতার পাওনা পরিশোধ করতে হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম্মতিতে ১৮০ দিন দেরিতে পরিশোধের শর্তে পণ্য আমদানি করা যায়। আর ৩৬০ দিন দেরিতে পরিশোধের শর্তে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা যায়। তবে ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর নীতিসহায়তার আওতায় এ ধরনের পণ্য ৩৬০ দিন পর্যন্ত দেরিতে পরিশোধের শর্তে আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। এর আগে ৬ মাস করে সময় বাড়ানো হলেও এবার এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, করোনার প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে ডলার সংকট এখনও পুরোপুরি কাটেনি। আগের অনেক দেনা বকেয়া আছে। যে কারণে নীতিসহায়তার মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক চ ম ল ব যবস য় আমদ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন