জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত সেনা সদস্যের মৃত্যু
Published: 30th, January 2025 GMT
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত রুহুল আমিন (৪৫) নামে এক সাবেক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো দুই ভাই। মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলায় প্রতিপক্ষের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সেনা সদস্য রুহুল আমিন এবং আহত জাকির (৪৭) ও রতন মিয়া (৪০) জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সেনা সদস্য রুহুল আমিনের বাবা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী মণ্ডলের সঙ্গে একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মধুর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত সোমবার দুপুরে ধানের জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মধু মেম্বারের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আনছার আলীর তিন ছেলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দেশিয় অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন সেনা সদস্য রুহুল আমিন (৪৫), পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন ও রতন মিয়া। স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সেনা সদস্য রুহুল আমিনকে রংপুর সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার দুপুর ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তার মৃত্যুতে পরিবার, স্বজন, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুর রহিম মধু মেম্বারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফুলছড়ি থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আনছার আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার মূল আসামি আব্দুর রহিম মধু মেম্বারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/মাসুম/ইমন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন কারাগারে
রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বুধবার আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।
বাসে হামলার এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশ। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ওসি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একজনের পরিকল্পনায় নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মামলা হয়। সেই মামলায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত রোববার (২৭ এপ্রিল) উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিআরটিসির ট্রাকের চাপায় একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
জনসংযোগ দপ্তর আরও বলেছে, হামলার ঘটনায় অভিযোগ জানাতে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম–থানায় যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুনঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা২২ ঘণ্টা আগে