অপারেশন ডেভিল হান্ট: সারা দেশে গ্রেফতার ১ হাজার ৩০৮
Published: 9th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ রাজধানীসহ সারা দেশে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে দেশের আটটি মেট্রোপলিটন এলাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৭৪ জনকে। আর দেশের রেঞ্জ এলাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে একহাজার ৩৪ জনকে।
রোববার রাতে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টে গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর জানানো হয়, দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে গতরাত থেকেই শুরু হয় এই অভিযান। ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার ইংরেজি শাব্দিক অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’।
৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে নাম আসে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা-কর্মীদের। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে