নরসিংদীতে দোকান থেকে ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 19th, February 2025 GMT
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধনাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এবং কী কারণে তাঁকে হত্যা করেছে, তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওই ব্যবসায়ীর নাম কবির উদ্দিন (৩৬)। তিনি উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধনাইয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় শিবপুর বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
কবিরের স্বজন ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কবির গতকাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে ধনাইয়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছার পর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ সকালে ওই পথে চলাচলের সময় স্থানীয় কয়েকজন সেখানে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পরিবারের সদস্যেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটিকে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে শিবপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত কবির উদ্দিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের ছয়টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তাঁর বাঁ পাঁজরের নিচে, কোমরের পেছনে ও বুকের ডান পাশের আঘাত ছিল গুরুতর। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসাইন জানান, বাড়ি ফেরার পথে ওই ব্যবসায়ীকে কে বা কারা উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।