সংস্কারের নামে ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নেবে না: মিন্টু
Published: 20th, February 2025 GMT
কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “সংস্কারের নামে যদি ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে বিএনপি মেনে নেবে না। অবিলম্বে আপনারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। আমরা চাই না আপনারা ব্যর্থ হন। গত ১৬ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে ১ লাখ ৫০ হাজার মিথ্যা মামলা হয়েছে। সংস্কার সংস্কার করে তালবাহানা করবেন না।”
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদে বিচার ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “বাংলাদেশে দুটি বড় দল আছে। এখনে একটা, আরেকটা দল পালিয়ে গেছে। ঐ দল যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই মানুষের মানবাধিকার লুণ্ঠন করে। ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল প্রহসনের নির্বাচন। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন বিদেশিদের ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তারা ক্ষমতায় বসার পরপরই নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য এদেশের জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, লাঞ্চনা-বঞ্চনা শুরু করে। যেমন বিডিআর হত্যাকাণ্ড, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, এরকম গত ১৬ বছরে প্রায় ৮ হাজার মানুষকে গুম-খুন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।”
তিনি বলেন, “মানুষের সর্ব প্রকার অধিকার হরণ করেছে। আর এ সরকার নাকি সংস্কার করবে। যদি আপনারা সংস্কার করতে চান প্রথম যেটা দরকার সেটা হলো পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী পেতাত্মাদের বিচার করতে হবে। তাদেরকে আগে বিচারের সম্মুখিন করেন। যখন তাদেরকে বিচার করতে পারবেন তখন বুঝব আপনাদের ক্ষমতা আছে।”
তিনি আরো বলেন, ‘‘আপনারা ক্ষমতায় বসে আছেন কিন্তু কোন দায়িত্ব পালন করছেন না ঠিকমতো। অতএব আমরা চাই ক্ষমতার ব্যবহারের আগে দায়িত্ব পালন করুন।”
তিনি বলেন, “বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের অধিকার, ঐ পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাতান্ত্রিক দল থেকে আমাদের দেশের মানুষকে অধিকার ফেরত দিয়েছে। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি।”
মিন্টু বলেন, “১৯৯০ সালে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তখন স্বৈরাচারী সরকারকে সরিয়ে সরকার গঠন করেছি। তখন আমাদের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমি একইসাথে আমাদের সেই নেত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করি। তিনি এখন বিদেশে আছেন, চিকিৎসা করাচ্ছেন, আশা করি অতি শিগগিরই উনার স্বাস্থ্য ঠিক হয়ে যাবে এবং আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।”
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনের সঞ্চালনায় জনসভায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/মিলন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষমত য় আম দ র ব এনপ আপন র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি।
আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি।
তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।
আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন তারা।