বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আত্মপ্রাকশ ঘিরে বুধবারের ঘটনা পরিকল্পিত কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন নতুন এই সংগঠন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন নতুন এই ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। তিনি জানান, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে তাহমীদ আল মুদাসসির চৌধুরী, তৌহিদ সিয়াম ও নাঈম রয়েছেন। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে এই তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। গতকালের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কমিটিতে রিফাত রশীদ নেই বলে জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ২০৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর একটি বড় অংশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে সারা দেশব্যাপী সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ