১৬ বছর পরও লিবার্টি চকে সেই স্মৃতি
Published: 3rd, March 2025 GMT
‘আগামীকাল (আজ) তো মার্চের ৩ তারিখ, মনে আছে সেই দিনের কথা?’
লাহোরের লিবার্টি চকে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে প্রশ্নটা করা হলে কেউ তাৎক্ষণিক মনে করতে পারলেন, কেউ একটু সময় নিলেন। তবে মনে হওয়ার পর প্রত্যেকেরই স্মৃতিতে ফিরে এল ১৬ বছর আগের বিভীষিকা। ওই তো, পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে শ্রীলঙ্কা দলের বাস ওই রাস্তা দিয়ে লিবার্টি চকের দিকে আসছিল। তারপর…।
স্থানীয়দের কাছ থেকে তার পরের ঘটনা শুনতেই গতকাল দুপুরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের অদূরের লিবার্টি চকে যাওয়া। ২০০৯ সালের আজকের দিনে, অর্থাৎ ৩ মার্চ লাহোরের এই জায়গাতেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের টিম বাসে সন্ত্রাসীদের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। গুলিবদ্ধ হন বাসে থাকা ক্রিকেটার থিলান সামারাবীরা, অজন্তা মেন্ডিস, থারাঙ্গা পারাভিতারানা, ৬ পুলিশ সদস্যসহ অনেকে। পরে সেদিনই বিশেষ ব্যবস্থায় মাঠ থেকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল পাকিস্তান ত্যাগ করে। গোটা ক্রিকেট–বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া ওই ঘটনার পর প্রায় ছয় বছর আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেট দল পাকিস্তানে খেলতে আসেনি।
আরও পড়ুনভারতকে যে ‘প্রথম’ উপহার দিলেন হেনরি১১ ঘণ্টা আগেঅন্তত তিনজন চাক্ষুষ সাক্ষীর কাছ থেকে কাল দুপুরে সরাসরি সেদিনের ভয়ংকর ঘটনাটি শুনলাম। তবে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ নাকি স্থানীয়দের বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় কথা বলতে নিষেধ করে দিয়েছে। ক্যামেরা বা রেকর্ডারের সামনে তাই মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ।
আহত শ্রিলঙ্কান খেলোয়াড়েরা ফিরে যাচ্ছেন দেশে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’