গোলাগুলির পর শান্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্ত
Published: 4th, March 2025 GMT
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। সোমবার রাতভর তোরখাম সীমান্তে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সোমবার রমজানের প্রথম কর্মদিবসে যখন পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে খাদ্য আমদানি সাধারণত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, সেই দিনটিতেই এই সংঘাত শুরু হয়। সংঘর্ষের কারণে প্রায় ১৫ হাজার স্থানীয় বাসিন্দা লান্ডি কোটালে পালিয়ে গেছেন।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগান সীমান্তরক্ষীরা কোনো সতর্কতা ছাড়াই সরকারি ভবন এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল।
সোমবার তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একজন তালেবান যোদ্ধা নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাদের বাহিনীর সদস্যরাও আহত হয়েছেন।
তোরখাম ক্রসিং হচ্ছে পাকিস্তান এবং স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের মধ্যে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের প্রধান পথ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
সীমান্তবর্তী শহরে বসবাসকারী আলী শিনওয়ারি রয়টার্সকে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এবং সীমান্ত ক্রমাগত বন্ধ থাকার কারণে সীমান্ত এলাকার মানুষদের জন্য একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মানুষ খুবই দরিদ্র এবং সীমান্ত সম্পর্কিত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সীমান্ত-এলাকা ফাঁড়ি নির্মাণ নিয়ে বিরোধের কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে তোরখাম ক্রসিং বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী