হাতির পায়ে পিষ্ট স্ত্রী, বেঁচে গেলেন স্বামী
Published: 8th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বন্যহাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে জান্নাত আরা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের উত্তর সুরাজপুর চেয়ারম্যান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জান্নাত আরা বেগম একই গ্রামের ফজল করিমের স্ত্রী। তারা গ্রামের সুরাজপুর বিলে তামাক চুল্লিতে তামাক শুকাচ্ছিলেন। এ সময় একটি বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসে। হাতিটি তামাক চুল্লির পাশে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ছুটে যায়। হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে ফজল করিম সরে যেতে সক্ষম হলেও তার স্ত্রী হাতির কবল থেকে রক্ষা পাননি। দলছুট হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ৬ সন্তানের মা জান্নাত আরা বেগম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন বলেন, বনবিভাগের হাতি–মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের বনবিট এলাকায় হাতির সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে পাহাড়ে হাতির খাবারের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে ক্ষুধার্ত হাতির পাল লোকালয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে।
লোকালয়ে হাতির তাণ্ডবে কেউ প্রাণ হারালে সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে জান্নাত আরার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ন ন ত আর
এছাড়াও পড়ুন:
পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।