শাবিপ্রবিতে নারী ক্রিকেটারদের জয় উদ্যাপন করেছেন সবাই মিলে
Published: 9th, March 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ধুমধাম করে হয়ে গেল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই অন্তর্বিভাগ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ। ১৩ ফেব্রুয়ারি ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে তারা হারিয়ে দেয় পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগকে। ২১ দলের মধ্যে সেরা হওয়ায় বিভাগের সবাই ভীষণ আনন্দিত। জয় উদ্যাপন করতে তাই এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। মাঠের দুই পাশে স্থাপন করা হয়েছিল ‘পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ চ্যাম্পিয়ন’ লেখা স্মারক। রঙিন বাতি, বেলুন আর আতশবাজিতে ঝলমল করছিল পুরো মাঠ। বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক হয়ে নারী ক্রিকেট দলের সদস্যদের লালগালিচা সংবর্ধনা দেন। দলের সদস্যরা হলেন আফসারা তাসনিম, মুহয়ী জাহান, সাথী আক্তার, ইসরাত জাহান, আতিকা আক্তার, আফরোজা খানম, মিতু খানম, সেজুতি রহমান, মারিয়া সুলতানা, উম্মে হানি, হাবিবা আক্তার, সানজিদা পাঠান, মুনিরা মাহমুদ ও সাদিয়া আফরিন।
আরও পড়ুনবিদেশে পড়তে চাই, কিন্তু কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রোগ্রাম আমার জন্য০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভিন্নধর্মী উদ্যাপনপলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের নারী ক্রিকেটাররাই তো এই দিনের বড় তারকা! তাই সবাই তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার আগে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পরিবেশ আরও আনন্দমুখর হয়ে ওঠে। রাত সাড়ে সাতটায় শুরু হয় আলোচনা সভা, যেখানে নারী ক্রিকেটারদের লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট।
নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুনিরা মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বিভাগ নারী ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমাদের পরিশ্রম, একতা ও আত্মবিশ্বাসের ফসল। বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, সিনিয়র ও জুনিয়ররা পাশে ছিলেন বলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।’
অ্যালামনাইদের পক্ষ থেকেও গত ৭ মার্চ দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।