ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) চলাকালে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে এক ব্রিটিশ নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (এসিইউ)। রোববার (৯ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন ওই ব্যক্তিকে নজরে আনে বিসিবি।

জানা গেছে, ৪৯ বছর বয়সী ওই দর্শকের নাম ডোমিনিক লুক। জুয়াড়ি সন্দেহে তাকে এসিইউ’র কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে ডোমিনিক দাবি করেছেন, তিনি কেবল ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই মাঠে এসেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, জিম্বাবুইয়ান ধারাভাষ্যকার টিনো মায়োয়োর সঙ্গে তার পরিচয় রয়েছে। অটোগ্রাফ সংগ্রহে সহায়তার জন্য বাংলাদেশের এক সাবেক ক্রিকেটারের মাধ্যমেও অনুরোধ করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। ডোমিনিক আরও বলেন, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে এসেছেন এবং ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ওই ব্রিটিশ নাগরিকের অতীত রেকর্ড খতিয়ে দেখারও অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বিপিএলে ফিক্সিং নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। যদিও চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠেনি। তবুও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিসিবি জুয়া প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সংস্থাটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আ ক ম মোজাম্মেল হক ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিনটি ব্যাংকে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাক সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঋণ বাদে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ৫৪ লাখ ২১ হাজার ২৮০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ২৭৭ টাকা। ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭ টাকা। তার মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় হলো ২ কোটি ৮২ হাজার ৯০ লাখ ৬৩০ টাকা আর জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ হলো ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকা। এই টাকা তিনি ভোগদখলে আছেন। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে পরিচালিত ৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। উত্তোলন করেছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। সন্দেহজনক মোট লেনদেন করেছেন ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাকা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সা‌বেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরু‌দ্ধে মামলা
  • মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা