রাকিবের ব্যাটে পারটেক্সের রোমাঞ্চকর জয়
Published: 22nd, March 2025 GMT
উইকেটের মিছিলে এক প্রান্তে আগলে রেখে দারুণ খেলতে থাকেন মোহাম্মদ রাকিব। জয়ের কাছে গিয়ে পড়ে যায় নবম উইকেটও। কিন্তু হাল ছাড়েননি রাকিব। আব্দুল গাফফার রনিকে নিয়ে অগ্রণীর বিপক্ষে পারটেক্সকে জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন রাকিব।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২১৮ রানে থামে অগ্রণী ব্যাঙ্ক ক্রিকেট ক্লাব। তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পারটেক্স।
পাঁচে নেমে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন রাকিব। ১০৩ বলে ৫টি করে চার-ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার। তার সঙ্গে গাফফার ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
আরো পড়ুন:
নাঈমের উড়ন্ত সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের সহজ জয়
কষ্টের জয়ে শীর্ষেই রইল আবাহনী
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পারটেক্স। ৩ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর একশর আগেই চার উইকেট পড়ে যায়। হাল ধরে খেলতে থাকেন রাকিব। মাঝে আহরার আমিন (২২) জাওয়াদ রোহানরা (১৮) থিতু হলেও ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি।
শেষ দিকে ২০৩ থেকে ২০৯ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে আরও বিপাকে পড়ে পারটেক্স। ২০৯ রানে নাঈম ইসলাম জুনিয়র আউট হলে জয় নিয়ে শংকা জাগে। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হতে দেননি রাকিব। এ ছাড়া আদিল ৩২ ও তানভীর হোসেন ২৫ রান করেন। অগ্রণীর হয়ে দুটি করে উইকেট করে নেন আরিফ আহমেদ-নাঈম হাসান।
এর আগে মারশাল আয়ূব এর ফিফটিতে ভর করে ২১৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে অগ্রণী। ৮৭ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন আয়ুব। ৫টি চারে সাজানো ছিল ইনিংসটি। ৩১ রান আসে ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। ২৪ বলে ২৭ রান করেন শুভাগত হোম। শেষে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান রানা।
এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটার সুবিধা করতে পারেননি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৩৩ বলে ১৯ রান করেন। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র। ২ উইকেট করে নেন মোহর শেখ, আলাউদ্দিন বাবু ও জাওয়াদ রোহান।
এদিকে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বিকেএসপির দুই ম্যাচ। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব-লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব-ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়। বৃষ্টির পেটে বিকেএসপির ম্যাচ
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।