ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো তুমুলভাবে দর্শক টানছে। ফলে দর্শকদের চাপ সামলাতে শো বাড়িয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি শোবিজে অঙ্গনের অনেক তারকাই ছুটছেন ঈদের আলোচিত সিনেমা দেখতে। দর্শকদের ভিড়ে জমে উঠেছে হল, মিলছে না কাঙ্খিত টিকিট। টিকিট না পাওয়ার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ইমরানও।

বুধবার (২ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে একথা জানিয়েছে ইমরান। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কাতার থেকে একটু আগে দেশে আসলাম। এসেই আমার ড্রাইভারকে এসকেএস টাওয়ারে পাঠালাম ‘বরবাদ’ সিনেমার টিকিট কাটার জন্য । শো হাউজফুল । শুধু তাই না আগামীকালের জন্য বললাম, সেখানেও টিকেট নাই।

তিনি আরো লেখেন, “তারপর জংলি সিনেমা দেখবো বলে বললাম ‘জংলি’র টিকিট আছে কিনা , ড্রাইভার বললো ‘জংলি’ সিনেমার টিকিট আজকে নাই, কালকেও নাই । আগামী পরশু টিকিট পাওয়া যাবে। তারপর খোঁজ নিতে বললাম ‘জ্বীন ৩ ’ কিন্তু আনফরচুনেটলি এ ছবি এসকেএস টাওয়ারে নেই। আছে বসুন্ধরা ষ্টার সিনেপ্লেক্সে।”

সবশেষ গায়ক লিখেছেন, ‘একটু মন খারাপ হলো কিন্তু ভালো লাগার বিষয় এটা বাংলা সিনেমা মানুষ দেখছে। হলে গিয়ে সিনেমা দেখছে এটাই খুশির সংবাদ। বাংলা সিনেমা জয় হোক। 

ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ সিনেমার রোমান্টিক গান ‘মায়াবী’তে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান। এছাড়াও ‘জংলি’ ও ‘জ্বী ৩’ ছবির গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন এ সংগীতশিল্পী। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ