ভোলার চরফ্যাসনে খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দুর্বৃত্তরা এক কৃষক পরিবারের বিপুল অঙ্কের টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইদ্রিস সরদারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। তাঁর পরিবারের নারী-শিশুসহ ৭ সদস্যকে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

চিকিৎসাধীন কৃষক ইদ্রিস সরদারের ভাষ্য, রোববার রাত ৯টার দিকে তিনিসহ পরিবারের ৭ সদস্য খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে প্রতিবেশীরা তাদের চেতনা ফেরায়। এ সময় দেখতে পান, বসতঘরের দরজা ভাঙা। দুর্বৃত্তরা ঘরে রাখা ধান বিক্রির সাত লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার জিনিসপত্র লুটে নিয়েছে। 

প্রতিবেশী বেল্লাল হোসেন বলেন, সোমবার সকালে ইদ্রিসের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান তিনিসহ অন্যরা। ওই পরিবারের সদস্যদের সাড়াশব্দ না পেয়ে কয়েকজন ঘরে ঢুকে সবাই অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে প্রাথমিক সেবা দিয়ে তাদের জ্ঞান ফেরান। দ্রুত সবাইকে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

বেল্লালের ধারণা, ইদ্রিস সরদারের ঘরের লোকজনের অজান্তে দুর্বৃত্তরা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে দিয়েছিল। সেই খাবার খেয়েই নারী-শিশুসহ ৭ জন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাঁর। 

দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে পাঠায়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টপ ট পর ব র র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিছিলে ধাওয়া দিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিল থেকে মশাল, ইটের টুকরাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বড়পুল মোড়সংলগ্ন বন্দর সংযোগ সড়ক থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহিম খলিল, আসিফ মাহবুব, নয়ন শীল, মো. সাগর, জাহিদুল ইসলাম, মাসুদ হাওলাদার ও মইন উদ্দিন। তাঁদের বিরুদ্ধে নগরের বন্দর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাতে বড়পুল এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই মিছিলে মশাল, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও অংশগ্রহণ করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন নগর যুবলীগের নেতা আসিফ মাহমুদ। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ধাওয়া দিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে অন্যরা পালিয়ে গেছেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জনসাধারণের ক্ষতি করার জন্য নাশকতার উদ্দেশ্যে মশাল, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে মিছিল করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে ৫টি মশাল, ১১টি ইটের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরিশালে বাবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৭
  • চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিছিলে ধাওয়া দিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার