দেশের জনগণের জন্য আধুনিক ও সহজলভ্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি প্রতিষ্ঠান সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্য দিয়ে অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী ও বিশ্বমানের ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করা হবে। 

দেশের আইটি পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি এবং বৈশ্বিক ব্যাংকিং প্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হায়োসাং টিএনএসের মধ্যে এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ এবং হায়োসাং টিএনএসের দক্ষিণ এশিয়ার এটিএম ব্যবসার প্রধান পরিচালক সাং কন লিম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই সমঝোতার মূল উদ্দেশ্য সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে এটিএম ও ব্যাংকিং কিয়স্ক স্থাপন এবং সামগ্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন। গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, স্থানীয় বাজার বিষয়ক অভিজ্ঞতা এবং হায়োসাং টিএনএসের অভিনব ব্যাংকিং প্রযুক্তির সমন্বয় গ্রাহকদের জন্য উন্নত ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। সারাদেশে ব্যাংকিং সেবাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ বলেন, বাংলাদেশে সর্বাধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে আমরা হায়োসাং টিএনএসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী ও বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিত করা। এই অংশীদারত্ব সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

হায়োসাং টিএনএসের পরিচালক সাং কন লিম বলেন, গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণের সূচনা হয়েছে। যা নতুন প্রজন্মের এটিএম ও ব্যাংকিং কিয়স্ক দেশের বাজারে সরবরাহ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই সমঝোতা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হবে বলে আমরা আশাবাদী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ব্র্যানন্ড পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আনোয়ার। গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান, যারা ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিষ্ঠানটি তার বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, মানসম্পন্ন আইটি পণ্য ও এন্টারপ্রাইজ সলিউশনের জন্য সুপরিচিত। অপরদিকে, ১৯৭৯ সাল থেকে হায়োসাং টিএনএস বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এই কৌশলগত অংশীদারত্ব বাংলাদেশের ব্যাংকিং প্রযুক্তি খাতে এক নতুন যুগের সূচনা করবে এবং সারাদেশের মানুষের জন্য আধুনিক ও সহজলভ্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ল ব ল ব র য ন ড প এলস ন ড প এলস র ন শ চ ত কর পর চ ল র জন য ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে

ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন

গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।

ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।

একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)

পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।

অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণ

কাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।

কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।

রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।

ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।

আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণ

কাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।

কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।

পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।

হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়

ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ

মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ

বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ

কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ী

সিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)

সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)

খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।

দাগ দূর করার টিপস

কোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।

এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।

পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবে

কাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।

কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।

লন্ড্রি পড ব্যবহার করলে

ছোট লোড: ১ পড

মাঝারি লোড: ২ পড

বড় লোড: ৩ পড

সূত্র: গুড হাউসকিপিং

আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ