গাজীপুরে বগি লাইনচ্যুত, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ
Published: 13th, April 2025 GMT
গাজীপুরের সালনা এলাকায় ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে। এতে বেলা আড়াইটা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল রেলপথে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নাদিরুজ্জামান। তিনি জানান, সালনা এলাকায় পৌঁছার পর নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে গাজীপুরের সালনা ব্রিজের কাছে পৌঁছার পর একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এতে যমুনা সেতু হয়ে উত্তরবঙ্গ চলাচলকারী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেননি উদ্ধারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট র ন ল ইনচ য ত ল ইনচ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী