চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় নগরের চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 
তারা হলো– বাসের চালক সাতকানিয়া থানার উত্তর পুরানগড় গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে মো. লোকমান ওরফে তারেক এবং হেলপার লোহাগাড়া থানার মাদবরপাড়া গ্রামের হাফেজ আহাম্মদের ছেলে মো.

হানিফ। 

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে ওই কিশোরী কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আসছিল। অন্য যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেও ওই কিশোরীকে আটকে রাখে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার। গাড়িটি নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় চলন্ত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত  কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। সকালে তাকে নগরের কানাই রাস্তার মাথা এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে কান্নারত অবস্থায় দেখে ঘটনা জানতে চান। ঘটনা শুনে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।

চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন সমকালকে বলেন, কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তির পর অভিযানে নেমে পুলিশ গাড়িটির চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া বাসের সুপারভাইজার মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। কিশোরীটির মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি থানায় এলেই মামলা দায়ের করা হবে। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ