রাতে স্ত্রীর, দিনে মিলল স্বামীর মরদেহ
Published: 19th, April 2025 GMT
নরসিংদীতে প্রায় ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মাধবদীর শেখেরচর বাবুরহাট বাজারের তিনতলা একটি ভবনের কার্নিশ থেকে স্বামী ও শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই থানার বালুসাইর এলাকার বাড়ি থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মারা যাওয়ারা হলেন- রাজু মিয়া (৪০) এবং মানছুরা বেগম (৩৫)। তারা মাধবদী উপজেলার মহিষাশুরা ইউনিয়নের বালুসাইর এলাকার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে বাবা খুন, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
নিজ ঘরে মিলল যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাজু এবং মানছুরার ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। রাজু মাদকাসক্ত ছিলেন। এ কারণে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। ধারণা করা হচ্ছে, কলহের জেরে শুক্রবার রাতে স্ত্রী মানছুরাকে ঘরের ভেতর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রাজু। এরপর তিনি ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালা ভেঙে পুলিশ মনছুরার মরদেহ উদ্ধার করে।
আজ সকাল ১১টার দিকে বাবুরহাটের একটি তিনতলা ভবনের কার্নিশে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজুর মরদেহ দেখতে পান বাজারের ব্যবসায়ীরা।
মাধবদী থানার ওসি মো.
তিনি আরো বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।”
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র র র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।