৩ দফা দাবিতে যবিপ্রবিতে বিএসসি প্রকৌশলীদের বিক্ষোভ
Published: 19th, April 2025 GMT
ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের নৈরাজ্য বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিলটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে যবিপ্রবির বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘যোগ্যতার মূল্যায়ন চাই, উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি চাই’, ‘উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে অবিচার, এবার চাই ন্যায়বিচার’, ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চাই মেধার জয়, বৈষম্যের হবে পরাজয়’, ‘আমাদের অঙ্গীকার, প্রকৌশলীর অধিকার’, ‘প্রকৌশলীর সকল পদ, শুধুই প্রকৌশলীদের অধিকার’, ‘কোটার নামে অবিচার, চলবে না চলবে না’, ‘উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে ন্যায় চাই, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের অধিকার চাই’, ‘এ মুহুর্তে দরকার, প্রকৌশল খাতের সংস্কার’, ‘মেধার মর্যাদা রক্ষা করো, রক্ষা করো’, ‘কোটার নামে অবিচার, বন্ধ করো বন্ধ করো’, ‘চাকরির বাজার মুক্ত চাই, কোটার নামে শোষণ নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে উত্থাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো, ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে ও বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না; টেকনিক্যাল দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে; ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষ থেকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলমান সব ধরনের বৈষম্যের অবসান এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে বিএসসি প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। জুলাই আন্দোলন হয়েছিল কোটা নামক বৈষম্য দূর করার জন্য। আর সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী নতুন বাংলাদেশে আবার কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি করে দেশকে মেধাহীন করার পায়তারা করছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা।
তারা বলেন, ডিপ্লোমারা অনার্সের লেভেলের চেয়েও কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোটার মাধ্যমে সরাসরি দশম গ্রেডে চাকরি করছে। আবার সেখান থেকে ৩৩ থেকে ৭০ শতাংশ কোটায় নবম গ্রেডে প্রমোশন বাগিয়ে নিচ্ছেন। এটা চরম বৈষম্য ছাড়া কিছুই নয়।
সমাবেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রকৌশলী মো.
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ব এসস
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী