অনুশীলন থেকে ফেরার পথে মডরিচের সতীর্থের মর্মান্তিক মৃত্যু
Published: 19th, April 2025 GMT
ক্রোয়েশিয়ার সাবেক মিডফিল্ডার নিকোলা পোকরিভ্যাক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, অনুশীলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
পোকরিভ্যাক ২০১০ সালে সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ম্যাচ খেলেছেন। লুকা মডরিচের সতীর্থ ছিলেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে মাত্র ১৫ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে তার। তবে ফুটবলার হিসেবে একজন যোদ্ধা ছিলেন তিনি।
ক্রোয়াট এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মোনাকো, রেড বুল সলসবার্গ, ডায়নামো জাগরেভের হয়ে খেলেছেন। তবে কোন ক্লাবে সেভাবে থিতু হতে পারেননি। তারপরও ফুটবল ছাড়েননি তিনি। শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ফুটবলের সঙ্গেই ছিলেন।
পোকরিভ্যাক লিম্ফোমা ক্যান্সারে আক্তান্ত হন। ২০১৫ সালে যে কারণে তার পেশাদার ক্রিকেট ছাড়তে হয়। তবে এরপরও নিচের সারির ক্লাবে ফুটবল খেলেছেন তিনি। ২০১৭-২১ পর্যন্ত বয়সভিত্তিক দলে কোচিং করিয়েছেন। এরপর ২০২১ সালে আবারো খেলায় ফেরেন তিনি।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কারিজান কোস্টিক বলেন, ‘নিকোলাস অসাধারণ ফুটবলার ছিলেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফুটবলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। অসুস্থতার সময়ও তিনি ফুটবল ছাড়েননি। অভাবনীয় সাহস দেখিয়েছেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
শাবানার আজ জন্মদিন
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। রবিবার (১৫ জুন) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার অবিস্মরণীয় এই তারকা। তার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে হৃদয়ে ধারণ করে ‘শাবানা’ নামে।
মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ (১৯৬২) সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাবানার। সেখান থেকে শুরু—তারপর এক দীর্ঘ পথচলা, যেখানে শাবানা হয়ে ওঠেন একের পর এক যুগান্তকারী সিনেমার মুখ। চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা সিনেমার আকাশে নিজেকে স্থায়ী নক্ষত্রে রূপান্তরিত করেন।
‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘আক্রোশ’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’—এমন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শাবানা। জনপ্রিয়তা ও অভিনয়গুণে অনন্য এক শিল্পী, যিনি রোমান্স থেকে শুরু করে সমাজধর্মী, দেশপ্রেম বা পারিবারিক—সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন:
‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া
দর্শক বলছেন আমি যেন শুভ ভাইকে বিয়ে করি: মন্দিরা
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাবানা। প্রযোজক হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। নাট্য ও সংস্কৃতি জগৎ থেকেও অর্জন করেছেন বাচসাস, নাট্যসভা, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি পুরস্কার।
ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে। তিন সন্তানের জননী শাবানা ১৯৯৭ সালে হঠাৎ করেই অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
অভিনয়ে ফিরবেন কি না, সে প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। কিন্তু শাবানা এমন এক নাম, যার অবদান আর স্মৃতিময়তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত