দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী হাসপাতালে
Published: 24th, April 2025 GMT
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে বিষপান করেছেন স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের মধ্যে স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। আর স্বামীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম ফাতেমা আক্তার (২৭)। আর তাঁর স্বামীর নাম আবদুর রহিম (৩৩)। খবর পেয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে চাটখিল থানার পুলিশ নিহত ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ভাওর গ্রামের আবদুর রহিমের সঙ্গে একই উপজেলার বানসা গ্রামের সামছুল আলমের মেয়ে ফাতেমার বিয়ে হয়। আবদুর রহিম পেশায় নির্মাণশ্রমিক। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ঝগড়ার জের ধরে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বিষপান করেন। স্ত্রী বিষ পান করার পর রাগে-ক্ষোভে স্বামী আবদুর রহিমও বিষ পান করেন। বাড়ির অন্যান্য লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক স্ত্রী ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর স্বামী আবদুর রহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ন কর য় র পর উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি