নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে বিষপান করেছেন স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের মধ্যে স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। আর স্বামীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম ফাতেমা আক্তার (২৭)। আর তাঁর স্বামীর নাম আবদুর রহিম (৩৩)। খবর পেয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে চাটখিল থানার পুলিশ নিহত ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ভাওর গ্রামের আবদুর রহিমের সঙ্গে একই উপজেলার বানসা গ্রামের সামছুল আলমের মেয়ে ফাতেমার বিয়ে হয়। আবদুর রহিম পেশায় নির্মাণশ্রমিক। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ঝগড়ার জের ধরে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বিষপান করেন। স্ত্রী বিষ পান করার পর রাগে-ক্ষোভে স্বামী আবদুর রহিমও বিষ পান করেন। বাড়ির অন্যান্য লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক স্ত্রী ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর স্বামী আবদুর রহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের লোকজনের বক্তব্য অনুযায়ী আবদুর রহিম ও ফাতেমা দম্পতির বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ চলছিল। ওই কলহের জের ধরে বুধবার সন্ধ্যার দিকে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই বিষপান করেন। এতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আর স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ন কর য় র পর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ