রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বহিষ্কৃত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর হলের আসন বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার রাতে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

সিট বাতিল হওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মানিক চন্দ্র সেন, এস এম লাবু ইসলাম, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সেজান আহম্মেদ। তাঁরা প্রত্যেকেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হলের আবাসিক ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভা, শৃঙ্খলা বোর্ড এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হলের নীতিমালা-২০১৫ ও প্রভোস্ট বডির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে।

শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট মো.

কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড, সিন্ডিকেট এবং হল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে এই চার শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী তিন মাসের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সিটও বাতিল হতে পারে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সচিব ও উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- উদ্দীপনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিন ফয়সাল, শওকত হোসেন ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।

আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬)-এর ২৪/৩ ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯(১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল হতে অনুমোদনহীন নামমাত্র ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোল্ডব্রিকস ও ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে তহবিল হতে স্থানান্তর করেছেন। উক্ত জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ