গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. ইসমাইল পালোয়ান (৪৬) নামে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ‘পেরেক’ মেরে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নবীল হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার দুর্বাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ইসমাইল একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন পালোয়ানের ছেলে। আটক নবীল হোসেন একই এলাকার রওশন আলীর ছেলে।

আরো পড়ুন:

নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মাধবপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

নিহত ইসমাইলের ছেলে আলী পালোয়ান বলেন, “গোলজার হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, নবীল হোসেন ও সুফল হোসেন ধান কাটার সময় হামলা চালায়। তারা আমার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং মোটা পেরেক দিয়ে গলায় আঘাত করে। পেরেক আমার বাবার গলার এক পাশ থেকে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

 

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো.

আলাউদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ইসমাইলের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। একাধিকবার বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয়। পরে এটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বুধবার সকাল ১১টার দিকে ইসমাইল ও তার তিন ভাই নিজ জমিতে ধান কাটতে যান। এসময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত গোলজার হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, নবীল হোসেন ও সুফল হোসেন একত্রিত হয়ে হাতুড়ি, পেরেক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইসমাইলদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ইসমাইল গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন। 

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালেদা নুসরাত জানান, দুপুর ১২টার কিছু পর ইসমাইলকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওসি আলাউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ ভুক্তভোগী পরিবারের
  • মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা