খিলগাঁওয়ে দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু
Published: 2nd, May 2025 GMT
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আজ শুক্রবার পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরিবার বলেছে, তারা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মৃত শিশুরা হলো মাদ্রাসাছাত্র ইসমাইল সোনার ওরফে হৃদয় (১৪) ও মাদ্রাসাছাত্রী মাহিনুর আক্তার (১২)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ইসমাইল মা–বাবার সঙ্গে খিলগাঁওয়ের মধ্য মেরাদিয়ায় থাকত। সে মেরাদিয়ায় একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
ইসমাইলের বাবা মিল্টন পেশায় রিকশাচালক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইসমাইলের মা গৃহকর্মীর কাজ করে। আজ সকালে ইসমাইলের মা বাসাবাড়ির কাজে যায় এবং আমিও কাজে বের হই। দুপুরে বাসায় ফিরে এসে দেখি একটি কক্ষের দরজা বন্ধ, কোনো সাড়াশব্দ নেই। পরে দরজা ভেঙে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ইসমাইল ঝুলছে।’ পরে সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় নামিয়ে ইসমাইলকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.
অন্য ঘটনায় আজ বেলা তিনটার দিকে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগের জামতলার ভাড়া বাসার বারান্দায় গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় শিশু মাহিনুরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন বলে পরিদর্শক মো. ফারুক জানান।
মাহিনুরের মা মনি বেগম বলেন, ‘মেয়ের মানসিক সমস্যা ছিল। মাসখানেক আগেও একবার সে গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।’
মাহিনুর সিপাহীবাগের একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা রুবেল মিয়া রিকশাচালক। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে বড়।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী