এমনিতেই ম্যাচটার উত্তাপ ছিল ভিন্ন। আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলির শেষ মুখোমুখি লড়াই বলে কথা! ৪৩ বছর বয়সী ধোনীর যে আগামী মৌসুমে খেলার কোন সম্ভাবনাই নেই। ম্যাচটি ছিল রেকর্ডের মালা গাঁথা। এক বিরাট স্পর্শ করলেন ৬টি রেকর্ড। অন্যদিকে রোমারিও শেফার্ড করলেন এই মৌসুমের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। তাতেই শনিবার (৩ মে) ধোনীর চেন্নাই সুপার কিংসকে ২ রানে হারায় বিরাটের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় বেঙ্গালুরুকে। শনিবার রাতে ম্যাচের ১৭.

৪ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৫৭ রান। এই সময় ক্রিজে আসেন শেফার্ড। বাদবাকি ১৪ বলের সবটাই এই ক্যারিবিয়ান একাই খেললেন। করলেন যৌথভাবে আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতক।

আরো পড়ুন:

চেন্নাইয়ের ঘরে বিষাদের বাজনা, ধোনির চোখে বিদায়ের আভা

ধোনি ম‌্যাজিকে পাঁচ ম‌্যাচ পর চেন্নাইয়ের জয়

সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড যশস্বী জয়সোয়ালের (১৩ বলে)। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে শেষ ২ ওভারে বেঙ্গালুরু তুলেছে ৫৪ রান। আইপিএলে ইনিংসের শেষ ২ ওভারে এত রান আগে কখনো হয়নি। একটা সময়ে ১৮০ হবে কি না সেই শঙ্কায় থাকা বেঙ্গালুরু তাতে পায় ২১৩ রানের বিশাল পুঁজি।

শেফার্ডের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে টিম ডেভিডের সঙ্গে ১৫ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েছেন, যেখানে ক্যারিবিয়ানের অবদান ১৪ বলে ৫৩। এই জুটিতে মাত্র একটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডেভিড। যেহেতু শেফার্ড বাকি থাকা ১৪টি বলই খেলেছেন, তাই সেটিও তার পাওয়ার কথা না। তবে ১৯তম ওভারে খলিল আহমেদের একটি নো বল করায় সেই সুযোগ পেয়েছেন।

চেন্নাইয়ের হয়ে শেষ দুই ওভার বোলিং করেছেন খলিল ও পাথিরানা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে খলিলের এক ওভারেই শেফার্ড তোলেন ৩৩ (একটি নোসহ)। আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা কোনো বোলারের করা এটিই সবচেয়ে খরুচে ওভার। এরপর পাতিরানার শেষ ওভারে দেন ২৪।

শেষ ২ ওভারে এদিন শেফার্ড নিয়েছেন ৫২। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ২ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান কেউ কোনো দিন নিতে পারেননি। সমান ৫২ রানই তুলেছিলেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরি।

রান তাড়ায় ১৭ বছরের কিশোর আয়ুশ মাত্রের ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস আর জাদেজার সঙ্গে তার ৬৪ বলে ১১৪ রানের জুটি পথে রাখে চেন্নাইকে। তবে সপ্তদশ ওভারে আয়ুশ ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে টানা দুই বলে ফেরান লুঙ্গি এনগিডি। তখন ক্রিজে যান ধোনি।

চেন্নাইয়ের সম্ভাবনা তখনও ভালোমতোই জিইয়ে আছে। ২১ বলে প্রয়োজন ৪২ রান। জাদেজা একটি ছক্কা মারেন ওই ওভারেই। ১৯তম ওভারে দারুণ এক শটে ছক্কা মারেন ধোনিও। তবে অন্য ডেলিভারিগুলোয় বড় শট খেলতে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক।

শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রানের। প্রথম দুই বলে জাদেজা ও ধোনি নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে লো ফুল টস ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ধোনি। ওই ছক্কার পরও ৮ বল খেলে কেবল ১২ রান করতে পারেন ৪৩ বছর বয়সী কিংবদন্তি। এরপর দায়ালের সে নো বলে ছক্কা, তবে এই পেসার শেষ তিন বলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। বেঙ্গালুরুর জয় দুই রানে। বিফলে জাদেজার ৪৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস।

শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে মাত ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে চেন্নাই।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন

আজ ২ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করা দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটি ঊনিশতম বছরে পদার্পণ করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ।

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার

মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ নদীর দূষণ: মৎস্য সচিব

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্ত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক উৎকর্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, গবেষণায় আগ্রহ ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞান ও গবেষণার বিনিময় জাতীয় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা প্রয়োজন “

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন