দুদকের মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে টয়লেটে পড়ে আহত হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

সোমবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত হন কামরুল ইসলাম। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

কামরুল ইসলামের বিষয়ে আইনজীবী নাসিম মাহমুদ বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গত নভেম্বর থেকে উনি (কামরুল ইসলাম) জেল হাজতে আটক আছেন। ওনার ওজন কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। উনি বেশ অসুস্থ, ক্যানসারে আক্রান্ত। আজ দুদকের মামলায় হাজিরার দিন ধার্য ছিল। তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে হাজতখানায় রাখা হয়।”

আরো পড়ুন:

আইভী ২ দিনের রিমান্ডে

সাবেক এমপি নিজাম হাজারীসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তিনি বলেন, “কামরুল ইসলাম টয়লেটে যান। টয়লেটে পড়ে মাথার পেছনে আঘাত পান। রক্তাক্ত হয়েছেন। হাজতখানায় নিয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ করে তাকে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) তারেক জোবায়ের বলেন, “উনি হাই প্রেসারের রোগী। আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। আজ মামলার ধার্য তারিখে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজতখানায় আনার পর কামরুল ইসলাম টয়লেটে যান। হাই প্রেসার থাকায় উনি মাথা ঘুরে টয়লেটে পড়ে যান। আঘাত পান। আমরা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে কারা হাসপাতালে পাঠিয়েছি।”

গত বছর ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯ নভেম্বর তাকে নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।

গত ২৩ ডিসেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ঢাকা/এম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ জতখ ন য় টয়ল ট

এছাড়াও পড়ুন:

দীর্ঘমেয়াদে নয়, নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করতে চাই: বুলবুল 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনয়নে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিসিবি পরিচালক তথা সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব পাওয়ার কথা এক সপ্তাহ আগেই সমকালে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রস্তাব পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বিসিবি সভাপতি হওয়ার বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে চান না আমিনুল। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) যে কোনো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তিনি।

আইসিসি ডেভেলেপমেন্ট অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করা আমিনুল পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। সম্প্রতি একটি পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে আসার পরই তাঁকে ঘিরে দেশের ক্রিকেটে পালাবদলের হিসাব চলছে। এরই মধ্যে গত পরশু রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করেছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ।

সেখানে ফারুক আহমেদকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে সরকার বিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনতে চায়। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে ফারুক অবশ্য দুই দিনের সময় চেয়েছিলেন। তবে ফারুক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে না চাওয়ায় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালকের মনোনয়ন বাতিল করে তাকে বিসিবির সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

সব ঠিক থাকলে এখন আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেবেন। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন করিয়ে দিতে দায়িত্ব নিতে রাজি বলে জানিয়েছেন, ‘আমাকে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নিতে এখনও বলা হয়নি। ১০-১৫ দিন আগে আমার সঙ্গে উপদেষ্টার অফিস থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা আমাকে বিসিবি পরিচালক পদে চান। সভাপতি নিয়ে কথা হয়নি। আমি বলেছি, দেশের ক্রিকেটের জন্য যে কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি আছি।’

৫৭ বছর বয়সী সাবেক এ অধিনায়ক লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব নিতে চান না, ‘দেখুন, আইসিসিতে আমি একটা দায়িত্বে আছি। তাদের আমি জানিয়েছি যে বিসিবি আমাকে একটা সময়ের জন্য চাইছে। তারা খুশিমনে রাজি হয়েছে এবং বলেছে, আমার জন্য আইসিসির দরজা খোলা থাকবে। তারা হয়তো একটি পদ আমার জন্য খালি রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লম্বা সময় বিসিবিতে থাকার ইচ্ছা আমার নেই। আমাকে হয়তো আবেগপ্রবণ ভাবতে পারেন, তবে একটি দেশের যখন সৈনিক দরকার হয়, ওই সৈনিক কিন্তু পারিশ্রমিক বা নিজের স্বার্থ দেখে না। কাজটাই তাঁর কাছে আগে। দেশের ক্রিকেট আমাকে চেয়েছে। আমি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। বিসিবির নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করতে চাই। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কিংবা দীর্ঘমেয়াদে থাকার ইচ্ছা নেই আমার।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ