বাংলাদেশে ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ৭ জুন (শনিবার) সারা দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে।

এই হিসেবে, ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশজুড়ে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, এর আগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও ইন্দোনেশিয়ায় ২৮ মে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর আসে। এসব দেশে ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে আরাফাতের দিন এবং ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু সুরক্ষায় ধূমপান নিষিদ্ধ করতে চলেছে ফ্রান্স

শিশুদের সুরক্ষার জন্য খোলা জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করতে চলেছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। নতুন এই পদক্ষেপের অধীনে দেশটিতে সমুদ্র সৈকত, স্কুলের আশপাশ ও পার্কসহ খোলা জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ফ্রান্স সরকার ঘোষণা করেছে, আগামী ১ জুলাই থেকে পার্ক, সমুদ্র সৈকত, স্কুলের আশপাশ, বাসস্টপ, খেলাধুলার মাঠসহ সব ধরনের খোলা জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হবে—যেসব স্থানে শিশুদের যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ক্যাথরিন ভাত্রাঁ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, “যেখানে শিশু আছে, সেখানে তামাকের কোনও স্থান নেই। ধূমপানের স্বাধীনতা শেষ হওয়া উচিত, যেখানে শিশুরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নেওয়ার অধিকার রাখে।”

যেসব স্থানে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে তার মধ্যে সমুদ্র সৈকত, পার্ক ও জনউদ্যান, স্কুলের বাইরের অংশ, বাসস্টপ ও খেলাধুলার মাঠ ও ভেন্যুও রয়েছে। তবে ক্যাফে ও তেরাস বা বারের বাইরের বসার জায়গা—এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

কার্যকর হতে যাওয়া এই নিয়ম ভাঙলে ১৩৫ ইউরো (প্রায় ১৫৩ ডলার) জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া এই নিয়ম কার্যকর করতে সাধারণ পুলিশ বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তবে মন্ত্রী আশা করছেন, মানুষ নিজেরাও নিয়ম মেনে চলবে।

অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা ইলেকট্রনিক সিগারেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে মন্ত্রী জানান, তিনি ই-সিগারেটে থাকা নিকোটিনের মাত্রা সীমিত করার জন্যও কাজ করছেন।

বিবিসি বলছে, ফ্রান্সে ধূমপানবিরোধী প্রচার নতুন নয়। ২০০৮ সাল থেকে দেশটিতে রেস্তোরাঁ, নাইটক্লাবসহ অভ্যন্তরীণ জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ। তবে বহুদিন ধরেই সৈকত ও পার্কে ধূমপান নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা থাকলেও আইনগত আদেশ না থাকায় তা বাস্তবায়ন হয়নি।

তবে ইতোমধ্যেই দেড় হাজারেরও বেশি পৌরসভা স্বেচ্ছায় এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। এমনকি ফ্রান্সের শত শত সৈকতও ধূমপানমুক্ত হয়েছে গত কয়েক বছরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ