ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি রাশিয়ার ব্রিয়ান্স্ক অঞ্চলে একটি মহাসড়কের সেতু ভেঙে রেললাইনের ওপর পড়ে গেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন। 

রবিবার (১ জুন) রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা সংস্থার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

রাশিয়ার জরুরি সেবাবিভাগ জানিয়েছে, সেতুটি ধসে পড়ার সময় নিচ দিয়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ওপর কয়েকটি ভারী ট্রাক পড়ে যায়। এতে ট্রেনের লোকোমোটিভ ও একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩১ মে) রাতে ব্রিয়ান্স্কের ভিগোনিচস্কি জেলায়, যখন ট্রেনটি ক্লিমোভো শহর থেকে মস্কোর দিকে যাচ্ছিল।

আরো পড়ুন:

ময়মনসিংহে ধসে পড়েছে গহুর মোল্লার ব্রিজ, যোগাযোগ বন্ধ

আবরার ফাহাদের নামে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

 

জরুরি সেবাবিভাগ আরো জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

মস্কো রেলওয়ে টেলিগ্রামে দাবি করেছে, পরিবহন কার্যক্রমে ‘অবৈধ হস্তক্ষেপের’ কারণে সেতুটি ধসে পড়েছে।

ব্রিয়ানস্কের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ টেলিগ্রামে বলেছেন, “দুঃখজনকভাবে, সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত সকল যাত্রীকে ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

মস্কোর আন্তঃআঞ্চলিক পরিবহন প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। উদ্ধার কাজ চালাতে অতিরিক্ত জরুরি কর্মী, যন্ত্রপাতি ও রাতে কাজ চালানোর জন্য আলো সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে বলে জানায় রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

ঢাকা/ফিরোজ-

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ