ভারতে বামপন্থী সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি-মাওবাদীর (সিপিআই-এম) সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশভা রাও ওরফে বাসভ রাজসহ ২৮ জন মাওবাদী রাজনৈতিক নেতা–কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের ৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

রোববার এক বিবৃতিতে এই নাগরিকেরা বলেন, গত ২১ মে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন কাগার’–এর মাধ্যমে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক বাসভ রাজসহ ২৮ জন মাওবাদী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর যুদ্ধের নাটক সাজানো হয়েছে।

তথাকথিত মাওবাদী দমন অভিযানের নামে একটি পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক কণ্ঠগুলো এই হত্যাকাণ্ডসহ অপারেশন কাগারে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

বিবৃতিতে অবিলম্বে অপারেশন কাগার বন্ধসহ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। বিশ্বব্যাপী বিপ্লবী, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ভারতের আদিবাসী ও নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী ফরিদ, মাওলানা ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, আইনজীবী মনজুর আল মতিন, সাংবাদিক আরিফুজ্জামান তুহিন প্রমুখ।

আরও পড়ুনভারতে মাওবাদী সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭ জনকে হত্যা২১ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ব শ বব

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ