‘ত্বকী হত্যার বিচার নিয়ে বর্তমান সরকার কিছুটা তৎপর, তবে আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে না’
Published: 8th, June 2025 GMT
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার নিয়ে বর্তমান সরকার কিছুটা তৎপর হলেও আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর বাবা রফিউর রাব্বি। নারায়ণগঞ্জ নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৭ মাস উপলক্ষে মোমশিখা প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে আজ রোববার সন্ধ্যায় এ কথা বলেন তিনি।
রফিউর রাব্বি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১১ বছর ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগামী এপ্রিলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এই সরকারও শেখ হাসিনা সরকারের মতো বিচার অসমাপ্ত রেখে কাঠগড়ায় দাঁড়াক—তা আমরা চাই না। অবিলম্বে ত্বকী হত্যার বিচারের দাবি জানাই।’
নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। সংগঠনটির সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, বাসদের জেলা আহ্বায়ক নিখিল দাস, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস, মহিলা পরিষদের জেলা সহসম্পাদক শোভা সাহা প্রমুখ।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে ত্বকীর বাবা বলেন, দুর্বৃত্ত রক্ষার সরকার পালিয়ে গেলেও এখন নতুন নতুন দুর্বৃত্ত তৈরি হচ্ছে। আগের দুর্নাম ঘুচিয়ে এখনো বিচার বিভাগ মুক্ত হতে পারেনি। এখনো বহু ক্ষেত্রেই বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা চলছে। দেদার মামলা–বাণিজ্য চলছে, মব জাস্টিসের নামে বর্বরতা চলছে, সরকার এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী এখনো আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না।
আদালতে দ্রুত ত্বকী হত্যার অভিযোগপত্র দিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়ে রফিউর রাব্বি বলেন, ‘সাগর-রুনি, তনুসহ নারায়ণগঞ্জের সব হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, সরকার জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে, ধ্বংসস্তূপ থেকে বিচারব্যবস্থাকে তুলে এনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।’
২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় ত্বকী। এর দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১৪ সালে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চার সেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই এ বিষয়ে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হবে। কিন্তু ওই অভিযোগপত্র আজও দেওয়া হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য র ব চ র ন র য়ণগঞ জ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।
যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।
তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।
যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।
আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।