১৫ বছর চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 9th, June 2025 GMT
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘‘গত ১৫ বছরে দেশের চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য চলেছে এবং এর ফলে শিল্পটির চরম অধঃপতন হয়েছে। এ খাতে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা এত দ্রুত ভাঙা সহজ নয়।’’
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে যশোরের রাজারহাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘‘আমরা চামড়া শিল্পে সবার আগে এতিমখানা ও মাদ্রাসার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি। পাশাপাশি চামড়া শিল্পের সার্বিক স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘গত ১৫ বছরে চামড়া শিল্পের যে অধঃপতন ঘটেছে, তা পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা সারাদেশে কাজ করছি। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কন্ট্রোল টিমও সক্রিয় রয়েছে।’’
চামড়ার সঠিক দাম ও মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে লবণ বিতরণ করেছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘‘চামড়ার দাম বাড়াতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ চামড়ার মূল্য নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘অনেক মাদ্রাসা লবণ ছাড়াই চামড়া সংগ্রহ করেছে। অথচ সরকার লবণ ছাড়া চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে না। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তা নষ্ট করেছেন। ফলে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাননি।’’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ট্যানারি মালিকদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার ঈদের আগেই ২২০ কোটি টাকার প্রণোদনা ছাড় করেছে। বাজার ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের চাহিদা তৈরি হবে।’’
শেখ বশিরউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য নিয়ে এখনো সরকারের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। অথচ সরকার চামড়া শিল্প রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারব।’’
ঢাকা/রিটন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যাশনাল গার্ড না দিলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন অনেকে। তবে নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি বেশ আস্থা রয়েছে ট্রাম্পের। তিনি বলেছেন, এমনটা না করা হলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।
লস অ্যাঞ্জেলেস ও এর আশপাশে এলাকায় এই বিক্ষোভ শুরু হয় গত শুক্রবার। গতকাল রোববার তা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। এদিন রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। সড়ক অবরোধসহ গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত কোনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের অনুরোধ সাপেক্ষে সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট। তবে এবার ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসমের অনুরোধ ছাড়াই বাহিনীটি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর এমন পদক্ষেপের বিরোধিতাও করেছেন নিউসম। তবে তা কানে তোলেননি ট্রাম্প।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল গার্ড’ কী, কখন এই বাহিনী মোতায়েন করা হয়২ ঘণ্টা আগেনিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়ায় সহিংস, উসকানিমূলক দাঙ্গা মোকাবিলার জন্য ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্তটি চমৎকার ছিল। আমরা যদি এমনটা না করতাম, তা হলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।’
আরও পড়ুনলস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে কেন বিপজ্জনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৫ ঘণ্টা আগেগভর্নর গাভিন নিউসম ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাসের সমালোচনা করে ট্রাম্প লেখেন, ‘চরম অযোগ্য গভর্নর গাভিন নিউসম ও মেয়র কারেন বাসের বলা উচিত ছিল, “ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আপনি খুবই অসাধারণ। আপনি ছাড়া আমরা কিছু করতে পারতাম না।” তবে তাঁরা আমেরিকা ক্যালিফোর্নিয়ার মানুষের সঙ্গে মিথ্যা বলাকে বেছে নিয়েছেন।”
আরও পড়ুনগুজব থেকেই কি লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ৬ ঘণ্টা আগে