জামালপুরে ‘একঘরে’ করা সাত পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে
Published: 16th, June 2025 GMT
তিন দিন ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া এলাকায় সাতটি পরিবারকে একঘরে করে রেখেছিল একটি মহল। এলাকার কোনো দোকানদার পণ্য বিক্রি করলে কিংবা কোনো প্রতিবেশী কথা বললে গুনতে হতো পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আজ সোমবার সকাল থেকে পরিবারগুলো আবারও আগের মতো স্বাধীনভাবে চলাফেরা শুরু করেছে।
একঘরে করে রাখার খবর প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের টনক নড়ে। গতকাল ও আজ সকাল পর্যন্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনার পর ওই সাত পরিবারকে একঘরে রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। ফলে আজ সকাল থেকে পরিবারগুলো আবারও স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন শুরু করেছে। তবে অভিযুক্ত শামীম আহমেদ ও আমিনুল ইসলামসহ প্রভাবশালীরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
সাত পরিবারের মধ্যে এক পরিবারের মো.
জামালপুরের মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা মানবতাবিরোধী কাজ হয়েছিল। বর্তমান সময়ে এ ধরনের কাজ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই গোষ্ঠীর তিনজন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। তার মানে এই পরিবারগুলো শহীদ পরিবার। আর তাঁদের সঙ্গে চরম অন্যায় করেছে প্রভাবশালী একটি দুর্বৃত্ত মহল। ঘটনার পরই পরিবারগুলো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের টনক নড়ে। অবশেষে সবকিছুর অবসান হয়েছে।’
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আনিসুর আশেকীন প্রথম আলোকে বলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ত পর ব র প রথম আল এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল
শিল্পীর সৌজন্যে