ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনে ভালো শুরু করেও ঋষভ পন্তের চোটে বিপাকে ভারত। গতকাল এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান বলের আঘাত পেয়ে মাঠে ছাড়েন। ৬৮তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া পন্ত মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েও দাঁড়াতে পারছিলেন না।

বাধ্য হয়ে গাড়িতে চড়ে তাঁকে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে পন্তকে। এর অর্থ হলো, এই সিরিজে আর তাঁকে মাঠে দেখা যাবে না। ইএসপিএনক্রিকইনফোও জানিয়েছে, পন্তকে চলতি সিরিজে আর না দেখার সম্ভাবনাই বেশি।

ক্রিস ওকসের (৬৮তম ওভারে) চতুর্থ বলে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন পন্ত। বল আঘাত হেনেছে ডান পায়ে। পা থেকে রক্ত বের হতে দেখা যায়। মাঠের বাইরে যাওয়ার পর পন্তকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ইএসপিএনক্রিকইনফো আজ জানিয়েছে, চলতি ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে খেলার বাকি অংশ এবং ওভালে শেষ টেস্টে পন্তকে ভারতের না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

আরও পড়ুনবিসিবির আমন্ত্রণে মাহমুদউল্লাহর ‘না’৮ ঘণ্টা আগে

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আজ জানিয়েছে, আঙুলে ফাটল ধরায় পন্তকে ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘স্ক্যান প্রতিবেদনে চিড় ধরা পড়েছে এবং ছয় সপ্তাহের জন্য বাইরে থাকতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে তিনি আবারও ব্যাটিংয়ে নামতে পারেন কি না, সেই চেষ্টা করছে মেডিকেল টিম। হাঁটতে তার এখনো সাহায্যের প্রয়োজন এবং ব্যাটিংয়ে নামার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানিয়েছে, সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে পন্তের জায়গায় ইশান কিষানকে স্কোয়াডে সংযুক্ত করবে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। ওভালে ৩১ জুলাই থেকে শুরু হবে পঞ্চম ও শেষ টেস্ট।

গতকাল দিনের খেলা শেষে পন্তের চোট নিয়ে স্কাই স্পোর্টসে কথা বলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার মাইকেল আথারটন, ‘যদি পন্ত ম্যাচ থেকে ছিটকে যান, যদি সিরিজ থেকেই বাদ পড়েন, তাহলে এটা হবে ভারতের জন্য বিশাল ধাক্কা। তাহলে দিনের খেলার চিত্রটাই পাল্টে যাবে। তখন (প্রথম দিন শেষে ভারতের স্কোর) ২৬৪/৪ হয়ে যাবে ২৬৪/৫, আর নতুন বল নিয়ে ইংল্যান্ড আগামীকাল (আজ) সকালে দ্রুত (ভারতকে) গুটিয়ে ফেলতে পারে। তবে যদি সে আবার ব্যাট করতে নামতে পারে, ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। যদিও চোটটা দেখতে বেশ গুরুতরই লেগেছে; কারণ, চোট পেলে সাধারণ গলফ কার্টে করে কেউ মাঠ ছাড়ে না।’

পন্তের সহ্যশক্তি খুবই বেশি, আর যখন ও এভাবে ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে, তখন বিষয়টা নিঃসন্দেহে গুরুতর। এমন চোট রাতারাতি আরও খারাপ হতে পারে।ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী

ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী বলেছেন, ‘ওর মুখের অভিব্যক্তিই অনেক কিছু বলে দিচ্ছিল। ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছিল। পন্তের সহ্যশক্তি খুবই বেশি, আর যখন ও এভাবে ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে, তখন বিষয়টা নিঃসন্দেহে গুরুতর। এমন চোট রাতারাতি আরও খারাপ হতে পারে। সকালে উঠে ব্যথা অনেক বেড়ে যেতে পারে, যতই বরফ দেওয়া হোক না কেন! রাতভর ও বরফ দেবে, কিন্তু আশা করছি যেন হাড় না ভাঙে বা চিড় না ধরে।’

আরও পড়ুনমৃত্যুবরণে সাহায্য করতে বলেছিলেন গ্রাহাম থর্প, বললেন তাঁর স্ত্রী২ ঘণ্টা আগে

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের কাছেও মনে হয়েছে পন্ত বড় চোটেই পড়েছেন। স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘ও তো পা মাটিতেই রাখতে পারছিল না। যেভাবে সঙ্গে সঙ্গে পা ফুলে উঠেছিল, সেটাই আমাকে সবচেয়ে চিন্তায় ফেলেছে। আমি নিজেও একবার ‘মেটাটারসাল’ হাড়ে চোট পেয়েছিলাম—এই হাড়গুলো খুব ছোট আর ভঙ্গুর। পন্ত যেহেতু ওটার ওপর কোনো ভরই দিতে পারছিল না, ব্যাপারটা মোটেও ভালো মনে হচ্ছে না। যদি ভেঙে যায়, তাহলে ওর সিরিজ শেষ। তবে যদি না ভাঙে, তাহলে ওকে ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার, সব করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। আশা করি, এরপর আর রিভার্স সুইপ খেলবে না!’

যেভাবে মাঠ ছাড়েন পন্ত.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ