সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপটি কাঁচা খেলেন আরেক সাপুড়ে
Published: 30th, July 2025 GMT
সাপ ধরতে গিয়ে ছোবলে প্রাণ হারান এক সাপুড়ে, তারপর সেই সাপটি কাঁচাই চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন আরেক সাপুড়ে। এমন ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে ডাক্তারপাড়ার সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন পাশের কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে সাপ ধরতে যান। ইমরান আলীর বাড়ির রান্নাঘরে একটি ইঁদুরের গর্তে কিং কোবরা সাপ বাসা বাঁধে। সঙ্গে ছিল ১৫-১৬টি বাচ্চা।
মাটি খুঁড়ে সাপের বাচ্চাগুলো প্রথমে ধরেন বয়েজ উদ্দিন। পরে বড় মা সাপটিও ধরেন। বস্তায় ভরার সময় সাপটি বয়েজ উদ্দিনকে কামড়ে দেয়। বিষয়টি পাত্তা দেননি সাপুড়ে। কিন্তু, বাড়ি ফিরে তিনি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
ইবিতে বেড়েছে সাপের উপদ্রব, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বয়েজ উদ্দিনের মরদেহ বাড়িতে আনার পর একে একে আসতে থাকে ওঝা ও সাপুড়েরা। তখন সেখানে মোজাহার নামের এক ব্যক্তিও আসেন। তিনিও সাপ ধরেন। মোজাহার এসে বয়েজ উদ্দিনের ধরা সবগুলো সাপ নিয়ে নেন। পরে কাছের গাবতলা বাজারে এসে বড় সাপটি কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন।
মোজাহারের বাড়ি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া বাজার এলাকায়। তিনি বলেন, “বড় সাপটি মেরে রক্ত-মাংস খেয়েছি। আর বাচ্চাগুলো ছেড়ে দেব।” কাঁচা সাপ খাওয়া তার পুরোনো অভ্যাস বলেও জানান তিনি।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম আবু সায়েম বলেন, ‘‘সাপে কাটার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে আনতে হবে। প্রচুর অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে। লোকজনকে আরো সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বেশি। সাপে কাটলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আনতে হবে।”
ঢাকা/সৈকত/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদার দাবিতে পিটিয়ে হত্যা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোমিনুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাপ্পু (৪০) ও তার ভাই শুক্কুর (৩৭)। তারা উভয় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন
ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘‘সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের তদারকি করতেন সিরাজুল ইসলাম। সে সময় শুক্কুর ও তার ভাই পাপ্পুসহ কয়েকজন সিরাজুলের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব