জাতীয় পার্টির (জাপা) রাজশাহী জেলা ও মহানগরের অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেসময় অফিসের সামনে লাগানো সাইনবোর্ড খুলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরসহ অন্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। 

মিছিলটি রাজশাহী কলেজের সামনের সড়ক দিয়ে ঘুরে সাহেববাজার গণকপাড়া হয়ে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। সেসময় গণকপাড়ায় জাতীয় পার্টির রাজশাহী জেলা ও মহানগর অফিসে হামলা করা হয়। কয়েকজন নেতাকর্মী ভেতরে ঢুকে অফিসের দরজা এবং চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এরপর সাইনবোর্ড খুলে রাস্তায় এনে আগুন জ্বালিয়ে দেন। পরে সেখানে পুলিশের দুটি গাড়ি যায়।

এর আগে মিছিলে অংশ নেন এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী, জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী সারোয়ারুল হক রবিন, ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা শাকিলুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের জেলার সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকির হোসেন, মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান জুয়েল, যুগ্ম সদস্য সচিব আরজিত আলী রানা প্রমুখ।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘পুলিশ পৌঁছার আগেই জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র স মন ত কর ম র অফ স নগর র হ নগর

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

আরো পড়ুন:

নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ কর‌তে হবে

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর