Samakal:
2025-02-08@00:03:11 GMT

বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই

Published: 15th, January 2025 GMT

বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা কমানো হয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন। রায়ে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া পরেশ বড়ুয়াকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফলে বাবরের কারামুক্তিতে আইনগত আর কোনো বাধা থাকছে না।

রায়ে লুৎফুজ্জামান বাবর ছাড়া খালাস পাওয়া অপর চারজন হলেন– রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.

) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন। এর আগে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা অপর মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জন খালাস পান।

আদালতে লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি জানান, হাইকোর্ট থেকে সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হবে। এটি প্রকাশ হলে দ্রুততম সময়ে বাবর জেল থেকে মুক্তি পাবেন। তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছেন। 

হাইকোর্টের রায়ে পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা কমানো হয়েছে। বিচারিক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন পাওয়া পরেশ বড়ুয়ার সাজা ১৪ বছর করা হয়েছে। আর অপর চার আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। তারা হলেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, এনএসআইর সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, তৎকালীন পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ ও হাফিজুর রহমান।

এ ছাড়া মারা যাওয়ার কারণে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা চারজনের আপিল বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহিম, শ্রমিক সরবরাহকারী দ্বীন মোহাম্মদ ও ট্রলার মালিক হাজি সোবহান।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান আটক করা হয়। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। দুটি মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), লুৎফুজ্জামান বাবর, পরেশ বড়ুয়া, দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথি হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়, যা হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। অস্ত্র আইনের মামলায় উভয় পক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল রায় দেন হাইকোর্ট। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তৎক ল ন

এছাড়াও পড়ুন:

নিষিদ্ধ প্রেম, অসম বিয়ে: উর্মিলার ক্যারিয়ারে অমাবস্যা

মীনাক্ষী, অনু আগরওয়াল থেকে মমতা কুলকার্নি— একসময় রুপালি পর্দায় রাজত্ব করেছেন। খ্যাতি কুড়ানোর পরও বলিউডের এমন অনেক অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার থমকে গেছে। এ তালিকায় আরো একজন রয়েছেন, যার নাম উর্মিলা মাতন্ডকর। শরীরি সৌন্দর্য ও নাচের হিল্লোলে অসংখ্য ভক্তের হৃদয় জয় করেন এই তারকা। নব্বই দশকের শীর্ষ নায়িকাদের অন্যতম হয়ে উঠেন উর্মিলা। নিজ গুণে অভিনেতাদের তুলনায়ও বেশি পারিশ্রমিক নিতেন তিনি।

২০১৪ সালে মুক্তি পায় উর্মিলা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা। চার বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ‘ব্ল্যাকমেইল’ সিনেমায় অতিথি চরিত্রে দেখা যায় তাকে। বলা যায়, ২০১৪ সালের পর খুব নীরবে ঝলমলে দুনিয়া থেকে হারিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। তার হারিয়ে যাওয়ার পেছনের গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।

উর্মিলা-রাম গোপালের পরকীয়া
১৯৯৫ সালে আমির খানের সঙ্গে ‘রঙ্গিলা’ সিনেমায় অভিনয় করেন উর্মিলা মাতন্ডকর। শুটিং সেটে সিনেমাটির পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার প্রেমে পড়েন এই অভিনেত্রী। এরপর এই পরিচালকের ‘দাউদ’, ‘সত্য’, ‘কৌন’, ‘মাস্ত’, ‘জঙ্গল’, ‘ভূত’, ‘এক হাসিনা থি’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন উর্মিলা। সেই সময়ে পরকীয়া প্রেমের কারণে নিয়মিত খবরের শিরোনামও হয়েছেন উর্মিলা-রাম গোপাল।  

নিষিদ্ধ প্রেম’ ধ্বংস করে উর্মিলার ক্যারিয়ার
পরিচালক রাম গোপাল ভার্মাকে পাগলের মতো ভালোবাসতেন উর্মিলা। যার কারণে অন্য কোনো পরিচালকের সিনেমায়ও অভিনয় করতেন না তিনি। এটি এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, রাম গোপালের সঙ্গে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের’ সম্পর্কে জড়িয়ে ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছেন এই অভিনেত্রী।

উর্মিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের খবরটি রাম গোপালের স্ত্রী রত্নার কানেও পৌঁছেছিল। এ নিয়ে দাম্পত্য জীবনে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল। জানা যায়, এজন্য উর্মিলাকে থাপ্পড় মেরেছিলেন রত্না। এরপর রাম গোপাল ভার্মা রত্নার সঙ্গে বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন এবং উর্মিলাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ বন্ধ করে দেন। এই ঘটনাই উর্মিলার অভিনয় ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয় এবং চলচ্চিত্র ছেড়ে দেন তিনি।

উর্মিলার অসম বিয়ে
২০১৪ সালে ঋদ্ধি মালহোত্রার বিয়েতে মডেল-অভিনেতা মোহসীন আখতারের সঙ্গে পরিচয় হয় উর্মিলার। পরিচয় রূপ নেয় বন্ধুত্বে; খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। কাশ্মীরের এই যুবক বলিউডে ভাগ্য পরীক্ষার জন্য মুম্বাই পাড়ি দেন। ২০০৯ সালে ‘ইটস আ ম্যান’স ওয়ার্ল্ড’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক ঘটে। এরপর ‘লাক বাই চান্স’, ‘মুম্বাই মাস্ট কালান্দার’, ‘বি. এ. পাস’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। মোহসীনের চেয়ে ১০ বছরের বড় উর্মিলা। জেনেবুঝে সবকিছু উপেক্ষা করে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ মোহসীনকে বিয়ে করেন উর্মিলা। ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে ছোট আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই প্রেমিক যুগল।   

ভাঙছে উর্মিলার সংসার
ভালোবেসে ঘর বাঁধলেও সুখকর হয়নি উর্মিলা-মোহসীনের সংসার। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন উর্মিলা। এখন আলাদা থাকছেন তারা। কী কারণে সংসার ভাঙছে তা জানা যায়নি। উর্মিলা-মোহসীনও বিচ্ছেদের বিষয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি। তবে এ জুটির সংসার ভাঙার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছে সিয়াসাত ডটকম।

এ প্রতিবেদনে জানানো হয়, উর্মিলা-মোহসীনের সংসার ভাঙার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম— অসম বয়স। মোহসীনের চেয়ে ১০ বছরের বড় উর্মিলা। তা ছাড়া একটু বেশি বয়সে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। অর্থাৎ ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করেন তিনি। সাধারণত, বয়সের এত ব্যবধান সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করে। এটি কেবল উর্মিলার ক্ষেত্রে নয়, এমন অনেক ঘটনাই রয়েছে। এতে করে নারীর সন্তান ধারণে সমস্যাও হয়। আর এসব নিয়ে ছেলে পক্ষের পরিবার থেকেও একটা চাপ তৈরি হয় (যদিও এ বিষয়টি উর্মিলার ক্ষেত্রে নাও ঘটতে পারে)।

উর্মিলা-মোহসীনের সংসার ভাঙার পেছনে অন্য আরেকটি কারণ আলোচনায় উঠে এসেছে। তা হলো— টাকা নিয়ে এ দম্পতির মাঝে ঝগড়া হয়েছে। মোহসীন ও তার পরিবার উর্মিলাকে তার সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। মূলত, মোহসীনের ব্যবসার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল, সেখান থেকে এটা করা হয়। এ কারণ বিবাহবিচ্ছেদ সমঝোতার মাধ্যমে হচ্ছে না।

তথ্যসূত্র: বলিউড লাইফ, বলিউড শাদি

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাজে আসছে না খাগড়াছড়ির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার
  • ১১ বছর পর মামলা চলার পথ খুলল
  • র‌্যাবের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
  • বিএড স্কেল পাবেন ২৩ বেসরকারি টিটি কলেজের সনদধারী 
  • নিষিদ্ধ প্রেম, অসম বিয়ে: উর্মিলার ক্যারিয়ারে অমাবস্যা