লক্ষ্মীপুরের বাগবাড়ি এলাকায় অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে সিএনজি চালকদের হামলায় তিন ট্রাফিক পুলিশ আহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের পাঠানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলুল করিম। 

লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের শহরের বাগবাড়ি এলাকায় ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকালে ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলা চালায় সিএনজি চালকরা। হামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া, ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল ঝুটন ভট্টাচার্য, টারজান বড়ুয়াসহ চার জন আহত হন। 

এই ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৭০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মহিউদ্দিন জুয়েল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। 

ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের সনাক্ত করছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি আব্দুল মোন্নাফ।

ঢাকা/লিটন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ