বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ
Published: 2nd, February 2025 GMT
বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে গাইবান্ধায় সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোট গাইবান্ধা জেলা সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মিহির ঘোষ, বাসদ মার্কসবাদী গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের গাইবান্ধা জেলা সম্পাদক কমরেড রেবতী বর্মন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট, মামলা-হামলা, বাজার সিন্ডিকেট, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, ভোটাধিকার হরণসহ নানা অপকর্মের কারণে বিগত সরকারের পতন হয়েছিল। এসব থেকে মুক্তির আকাঙ্খায় মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এরই মধ্যে মানুষের আকাঙ্খার বিপরীত কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। তারা সিন্ডিকেট ভাঙার বদলে নিত্যপণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করেছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করে মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
বক্তারা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতারা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম গণত ন ত র ক জ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ