শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ সবাই খালাস
Published: 5th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়।
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
বেতন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে পরীক্ষা বর্জনের হুমকি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের
সহকারী শিক্ষক পদটি শুরুর পদ ধরে এই পদে বেতন ১১তম গ্রেডে, শতভাগ পদোন্নতি বিভাগীয় প্রার্থীদের মধ্যে দেওয়া ও উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ। এসব দাবি পূরণে সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, দাবি পূরণ না হলে বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতারা এসব দাবি জানানোর পাশাপাশি নতুন কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা দিয়েছেন।
কর্মর্সূচির মধ্যে রয়েছে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি, ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট। আর নভেম্বরের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়া হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক নেতা শাহিনুর আল-আমীন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, অজিত পাল, তপন কুমার মণ্ডল, আনিসুর রহমান, শাহিনূর আক্তার, সাবেরা বেগম প্রমুখ।